কোনও নিয়ম মানছে না রাজ্য প্রশাসন, ক্যাটের রায়ে অচলাবস্থা

ক্যাটের রায়ে রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনে অচলাবস্থা। তবে রায়ের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য। যদিও শুধু নজরুল ইসলাম নয়, এরপরেও রাজ্যের বিরুদ্ধে পদোন্নতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কোনও নিয়ম বা আইনকেই তোয়াক্কা করছে না বর্তমান প্রশাসন।আইপিএস নজরুল ইসলামের পদোন্নতি না দিয়ে রাজ্য সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল।

Updated By: Feb 3, 2014, 11:46 PM IST

ক্যাটের রায়ে রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনে অচলাবস্থা। তবে রায়ের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য। যদিও শুধু নজরুল ইসলাম নয়, এরপরেও রাজ্যের বিরুদ্ধে পদোন্নতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কোনও নিয়ম বা আইনকেই তোয়াক্কা করছে না বর্তমান প্রশাসন।আইপিএস নজরুল ইসলামের পদোন্নতি না দিয়ে রাজ্য সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল। আর সেই কারণেই যে বৈঠকে নজরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে আর পাঁচজনকে ডিজি করা হয়েছে সেই বৈঠককেই বাতিল করেছে আদালত। যদিও আইন অনুসারে রায়ের প্রতিলিপি না পাওয়া পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না রাজ্য।

তবে ওই ঘটনার পরেও যে রাজ্যের হুঁশ ফেরেনি তা বারবার দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি লাভপুর কাণ্ডের জেরে সরানো হয় বীরভূমের এসপিকে। বীরভূমের এসপি পদে রাতারাতি বদলি করা হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার অতিরিক্ত পুলিস সুপার পশ্চিম অলোক রাজোরিয়াকে। যদিও ২০০৮ সালের আইপিএস ব্যাচে তাঁর থেকে সিনিয়র ছিলেন রশিদ মুনির খান। কয়েকদিন বাদে তাঁর পদোন্নতি করা হয়।

এই দুই আইপিএস মাত্র বছর দেড়েক অতিরিক্ত পুলিস সুপার ছিলেন। কিন্তু ওই ব্যাচেরই আরও চারজন রয়েছেন যাঁরা প্রায় তিন বছর ধরে অতিরিক্ত পুলিস সুপার থাকলেও পদোন্নতি করা হয়নি। নজরুল ইসলামের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমন নিয়ম না মানায় এবং রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়ায় বিচারপতি প্রতাপ রায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন, "শুধুমাত্র এসিআর দেখে পদোন্নতি করা হলে কোনও স্ক্রিনিং কমিটির প্রয়োজন ছিল না। ইংরেজি জানা একজন ক্লার্কই তা করে দিতে পারতেন।`` "উনি এই মাসেই অবসর নেবেন, আপনারা ওঁকে হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট অবধি নিয়ে যেতে পারেন। পরে উনি ডিজি হওয়ার সার্টিফিকেট বাঁধিয়ে ড্রইং রুমে টাঙিয়ে রাখবেন ?``

রাজ্য সরকার যে পদক্ষেপই নিক না কেন তা চরম অস্বস্তির হতে চলেছে। রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ পেলে আপাতত সমস্যা মিটতে পারে। কিন্তু এই রায় সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের ঘনিষ্ট আইপিএস নজরুল ইসলামের অভিযোগটা তাই ছিল।

.