National Anthem Controversy: 'জাতীয় সংগীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না'! হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের..
জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলার তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ। 'যে ক্যামেরার ফুটেজ দেখাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী দল কই? তাদের তো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে না, রাজ্যের আইনজীবীকে বললেন বিচারপতি।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলার তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্টে। কতদিন? ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যকে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের মন্তব্য, 'জাতীয় সংগীতকে সম্মান করতে হবে। অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন না'! ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: West Bengal Assembly: বিধানসভায় পেয়ারা এনেছিলেন স্পিকার, নিলেন না বিজেপি বিধায়করা!
জাতীয় সংগীত বিতর্কে বিধায়কদের পুলিসি তলবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে বিজেপি। এদিন ফের মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন। বেঞ্চে। ল্য়াপটপে বিধানসভার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন বিচারপতি। এরপর রাজ্যের আইনজীবীকে তিনি বলেন, 'যে ক্যামেরার ফুটেজ দেখাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী দল কই? তাদের তো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে না। একটা ক্যামেরা দুটো অবস্থান ক্যাপচার করতে পারেনি। তার মানে তারা আরও দূরে ছিল। কি হবে এবার বলুন'?
শুনানিতে বিজেপির তরফে আইনজীবী বলেন, 'বিধানসভায় ধরনা কর্মসূচি রাজ্য সরকারের কর্মসূচি ছিল না। এই কর্মসূচি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে, মন্ত্রীরা ধরনার অংশ গ্রহণ করছেন বলে লেখা নেই, লেখা রয়েছে তৃণমূল বিধায়ক বলে'। তাঁর প্রশ্ন, 'জাতীয় সংগীত শুরু হবে এই মর্মে আগে থেকে জানানো হয়নি কেন'?
রাজ্যের পাল্টা সওয়াল, 'জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়েছে, অবরোধ করা হয়েছে এনিয়ে কোন বিরোধ নেই। জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে এই মর্মে লাউড স্পিকারে ঘোষণা হয়েছিল। বেশ কিছু সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে এবং ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে'। বিচারপতি প্রশ্ন, 'যদি কাছাকাছি দুটি কর্মসূচি হয় তাহলে একটি কর্মসূচির বিধি কি অন্য কর্মসূচির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে ? যদি কোথাও হঠাৎ করে জাতীয় সংগীত শুরু হয়ে যায় এবং তার পাশের বাড়িতে যদি কোন বয়স্ক লোক শুয়ে থাকেন, তাহলে তাকে কি লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে'?
আরও পড়ুন: WB Weather Update: শীতের দরবারে অনাহূত বর্ষা! ভোর থেকেই বিপর্যস্ত কলকাতার জনজীবন...
ঘটনাটি ঠিক কী? কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রীরা। দুর্নীতির অভিযোগে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করাও। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্লোগান ওঠে, 'চোর, চোর'! এমনকী, জাতীয় সংগীত চলাকালীনও স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগে ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে নালিশ করে তৃণমূল। বাদ যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পরে বিরোধী দলের ১১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে FIR করা হয় হেয়ার স্ট্রিট থানা। সেই অভিযোগে প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বিধায়কদের তলব করেছে কলকাতা পুলিস।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)