Mamata Banerjee | Calcutta High Court: খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, মমতার 'সংহতি' মিছিলকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি হাইকোর্টের!
ওই দিন আরও ৩৫টি বিভিন্ন র্যালির আবেদন জমা পড়েছে। কোনও অশান্তি হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট দলকেই নিতে হবে। অঘটন ঘটলে ওই দলের উপরই তার দায় বর্তাবে। বক্তব্য আদালতের।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: খারিজ শুভেন্দু অধিকারীর আর্জি। সংহতি মিছিলকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি হাইকোর্টের। ২২ জানুয়ারি, অযোধ্য়ায় রামমন্দিরে রামললাার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন-ই সংহতি মিছিলের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আদালতের খারিজ হয়ে গিয়েছে বিরোধী দলনেতার আর্জি। বদলে শর্তসাপেক্ষে মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের।
কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যাবে না। কোনও ধর্মকে উল্লেখ করে বা আঘাত করে কিছু বক্তব্য রাখা যাবে না। কোনও অশান্তি হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট দলকেই নিতে হবে। অঘটন ঘটলে ওই দলের উপর তার দায় বর্তাবে। যানজটে সমস্যা যাতে না হয় দেখতে হবে। আদালতের রায় লংঘন করলে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বাহিনী মোতায়েনে সাফ 'না' হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের। ২২ জানুয়ারি রাজ্যে অশান্তি এড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানান, এই ধরনের র্যালি ট্রাফিকের সমস্যা করবে। অ্যাম্বুলেন্সের সমস্যা হয় র্যালিতে। তাই রাজ্য ও ওই দলের দায়িত্ব এই ধরনের বিষয়গুলিতে তৎপর হওয়া। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রতি ব্লকে যদি এই র্যালি হয়, সেখানকার মানুষের সমস্যা হবে। এই র্যালির জন্য কোনও আগাম অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই দিন আরও ৩৫টি বিভিন্ন র্যালির আবেদন জমা পড়েছে। ফলে সেগুলি অনুমতি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে। তাই যানজটে যাতে সমস্যা না হয়, তা দেখতে হবে।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় যেদিন রামমন্দিরের উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা, সেই ২২ জানুয়ারি হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত 'সংহতি' মিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে প্রত্যেক জেলায় ব্লকে ব্লকে বেলা ৩টেয় সম্প্রীতি মিছিলেরও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ডাকা এই 'সংহতি' ও সম্প্রীতি মিছিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান শুভেন্দু অধিকারী। স্রেফ মিছিল পিছিয়ে দেওয়া-ই নয়, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনেরও আর্জি জানান তিনি। এমনকি, 'সংহতি মিছিল' নিয়ে উদ্বিগ্ন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দেন। তমলুকের সাংসদ আশঙ্কাপ্রকাশ করেন, 'সংহতি যাত্রার নামে হিংসা-বিদ্বেষ তৈরি হতে পারে। অশান্তির ঘটনা ঘটতে পারে।'
আরও পড়ুন, SFI: বড় দায়িত্বে সৃজন-প্রতীকউর, ৬ বছর পর নেতৃত্বে বদল এসএফআই-এর!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)