Partha Chatterjee, SSC Scam: ফাঁপরে পড়লেই ডেস্টিনেশন SSKM! চিকিৎসকদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
"সাম্প্রতিক অতীতে যখনই ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন অথবা তাঁদের তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে, তখনই তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব সফলভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।", পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ইডির দাবি মেনে ভুবনেশ্বর এইমস (AIIMS) হাসপাতলে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার খুব সকালে এয়ার অ্য়াম্বুল্যান্সে করে তৃণমূলের মহাসচিবকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাবেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশ, ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে কার্ডিওলজি, নেফ্রলজি, রেস্পিরাটরি মেডিসিন এবং এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করতে হবে। সেই দল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরীক্ষা করবে।
রবিবার রায়দানের সময় এসএসকেএম হাসপাতালের কাজ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ...
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, Arpita Mukherjee: রাজনীতির গ্ল্যামার-যোগ! নেতাদের সঙ্গী যখন সুন্দরীরা
- ১) সাধারণ মানুষ হিসাবে এসএসকেএম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূমিকায় আমরা খুশি নই। সাম্প্রতিক অতীতে যখনই ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন অথবা তাঁদের তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে, তখনই তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব সফলভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।
- ২) শাসকদলের ছাতার তলায় এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক পটভূমি রয়েছে, এই ধরনের রাজনৈতিক নেতারা যখনই বুঝতে পেরেছেন যে তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা আর জিজ্ঞাসাবাদ হবে না, তখনই তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
- ৩) এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যালল রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আদালতের সামনে পেশ হওয়াকে পর্যন্ত নেতারা এড়িয়ে গিয়েছেন।
- ৪) পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্ষিয়ান মন্ত্রী, যাঁর অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে এবং যিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তাঁর পক্ষে অন্য রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিয়ে এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- ৫) যদি এটা ঘটে তাহলে বিচারব্যবস্থা হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থীদের অশ্রু ধারায় অভিশপ্ত হবে। যাঁদের ভবিষ্যৎ টাকার লোভে বলি প্রদত্ত হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ, সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরের তদন্তকারী আধিকারীক, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে সেই রিপোর্ট দিতে হবে। তদন্তকারী আধিকারিক রিপোর্টের সফট কপি কলকাতার ইডি অফিসে পাঠাবেন। কলকাতার ইডি আধিকারিকরা সেই কপি বিশেষ আদালতের কাছে পেশ করবেন।