গরু পাচারকাণ্ড: মূল অভিযুক্ত এনামূলকে CBI হেফাজতের নির্দেশ দিল High Court
নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গরু পাচারকাণ্ডে আত্মসমর্পণ করার পর অবশেষে মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরার অনুমতি পেল CBI। ১৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনামূলকে CBI হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২৪ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে ফের আসানসোল আদালতে পেশ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: ইমেল ও হাতে লেখা ইস্তফাপত্রে তারিখ বিভ্রাট! Suvendu-কে সোমবার ডাকলেন স্পিকার Biman
উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মূল অভিযুক্ত এনামূলকে প্রথমে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিলেন CBI কর্তারা। কিন্তু তাকে জেরা করা যায়নি। কেন? CBI হেফাজতে থাকাকালীন করোনা আক্রান্ত হন এনামূল। পরপর দু'বার রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার। এরপর চিকিৎসায় সেরে ওঠে সে এবং আত্মসমর্পণ করে আসানসোল আদালতে। গত ১১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডের মূল পাণ্ডার পুলিশি হেফাজতে আর্জি খারিজ করে দেন নিম্ন আদালতের বিচারক। তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে CBI। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার এনামূলকে ৬ দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে CBI-কে জেরা করার অনুমতি দিল আদালত।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের উপরে শাহ! গুরুদেবকে হেয় করার সাহস হয় কীভাবে?: TMC
রাজ্যে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে দিল্লি থেকে মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে গ্রেফতার করে CBI। জানা যায়, BSF ও শুল্ক দপ্তরের একাধিক কর্তার মদতে সীমান্তে চলত গরু পাচার। অপর দুই অভিযুক্ত বসায়ী রাজেন পোদ্দার ও বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও পান তদন্তকারীরা। সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বনগাঁ, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত সংলগ্ন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তবে এই চক্রের মূল পাণ্ডা এনামূলই। অন্তত তেমনই দাবি CBI-র।
এদিকে CBI সমন জারি করার পরই সপরিবারে পালাল কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালা। ২১ ডিসেম্বর CBI দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে। শুক্রবার যখন সেই সমনের কপি নিয়ে লালার পুরুলিয়ার বাড়িতে হাজির হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা, তখন দেখেন বাড়িতে কেউ নেই, দরজায় তালা ঝুলছে। কাউকে না পেয়ে বাড়ির দরজার সমনের কপিটি সাঁটিয়ে দিয়ে দেন তদন্তকারীরা।