Group D Recruitment: গ্রুপ ডি পদে সুপারিশে নিয়োগ, ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
আগামিকালের মধ্যে সবকিছু আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সময়সীমা পেরিয়ে য়াওয়ার পর গ্রুপ ডি পদে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। এসএসসি-র গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, কেন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে তার জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়। আজ ওই মামলায় এসএসসির সচিবকে তীব্র ভাষায় ভত্র্সনা করে আদালত।
সচিবের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, আপনাদের উপরে আমার ভরসা নেই। আপনারা কী তদন্ত করবেন তা আমি জানি। নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতি চলতে পারে না। পুরো কমিশনকে বরখাস্ত করে দেব। প্রয়োজন হলে সিআইএসএফকে বলব অফিসের দখল নিতে। যাতে কেউ কোনও জিনিস অফিস থেকে বের করে নিয়ে যেতে না পারে। সিবিআইকে বলব সব দেখতে। কোনও কমপিউটারে হাত দেবেন না। কারা এর পেছনে রয়েছে তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এনিয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্য়া দিতে হবে বিকেল তিনটের মধ্য়ে। তা না দিতে পারলে সিবিআই তদন্ত হবে।
আরও পড়ুন- Zee24Ghanta Impact: বন্ধ হল নদী ভরাটের কাজ, রিপোর্ট দেবে তদন্ত কমিটি
বুধবার তিনটের পর ফের দ্বিতীয়বার বসে আদালত। সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৪ মে-র পর থেকে কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। ওই কথা শোনার পর আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়,আগামিকালের মধ্যে সবকিছু আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
এদিকে, নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর কারও জন্য সুপারিশ করা হয়নি বলা হলেও ২৫ জনের নিয়োগ হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে এসএসসির বিরুদ্ধে ওঠা মামলায়। ওই ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি, আদালতের প্রশ্ন, ওই ২৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশের চিঠি কে দিল? এর সঙ্গে কি টাকা পয়সা লেনদেনের কোনও ব্যাপার রয়েছে? সেই বিষয়টাই খতিয়ে দেখতে চাইছে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি পদে ১৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়। সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু তার পরেও একাধিক নিয়োগ হয়েছে। মোট ২৫ জনের সুপারিশের তথ্য আসে আদালতের হাতে। এনিয়েই ব্যাখা তলব করে হাইকোর্ট।