বউবাজারে অগ্নিকাণ্ডের জেরে সামনে এল বেআইনি প্লাইউড কারবার
বউবাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড সামনে নিয়ে এল গুরুতর সব তথ্য। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে খুলে বসা হয়েছিল প্লাইউডের গুদামগুলি। খোদ জমি মালিকেরই অভিযোগ, এ নিয়ে বহুবার পুরসভা থেকে পুলিস, সবাইকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই করা হয়নি।
কলকাতা: বউবাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড সামনে নিয়ে এল গুরুতর সব তথ্য। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে খুলে বসা হয়েছিল প্লাইউডের গুদামগুলি। খোদ জমি মালিকেরই অভিযোগ, এ নিয়ে বহুবার পুরসভা থেকে পুলিস, সবাইকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কিছুই করা হয়নি।
দমকলের ২৬টি ইঞ্জিনের বহু চেষ্টায় আগুন নিভেছে ঠিকই। তবে কাটেনি আতঙ্ক। বউবাজারে যেখানে অগ্নিকাণ্ড, সেই জমির মালিক এদিন পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন। দায়ের হয়েছে এফআইআর। যাতে অভিযোগ, এলাকায় প্লাইউডের গুদামগুলি তৈরিতে নিয়ম-নীতির কোনও তোয়াক্কাই করা হয়নি। এনিয়ে দমকল, পুলিস, পুরসভা- সবার কাছে তিনি অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ফল হয়নি। এদিকে, সোমবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে প্লাইউড কারখানাটি। পুড়ে ছাই পাশের আরও অনেকগুলি গুদাম। অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্ক থেকে এখনও বেরোতে পারেননি এলাকার বাসিন্দারা।
জতুগৃহের কাঠামো এখনও এমনভাবে দাঁড়িয়ে যে, সব জায়গায় ঠিকমতো জল দেওয়াও সম্ভব হয়নি দমকলের পক্ষে। তাঁদের বক্তব্য, এই অবস্থায় সবচেয়ে ভাল হত, যদি পুরোটাই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত। তবে এলাকা এতটাই ঘিঞ্জি এবং গায়ে গায়ে সব বাড়ি যে পে-লোডার বা বুলডোজার কোনও কিছুই অপ্রশস্ত গলিতে ঢোকানো সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় দমকলের কাজ শেষ হওয়ার পরই সেখানে ঢুকতে পারবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। আগুন লাগা, তা ছড়িয়ে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। দমকলের আশঙ্কা, প্লাইউড ছাড়াও কারখানটির ভিতরে আরও প্রচুর দাহ্য পদার্থ জমা করা ছিল। কী ধরনে দাহ্য পদার্থ ছিল, তাও দেখবে ফরেনসিক।