বোস ইন্সটিটিউটে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অশালীন আচরণ, ২৪ ঘণ্টায় খবর প্রকাশের পরেও এখনও অধরা রেজিস্ট্রার
বোস ইন্সটিটিউট। দেশের প্রথম সারির গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আর সেই প্রতিষ্ঠানেই চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। মহিলা চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। রাতবিরেতে অশালীন এসএমএস। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ। গত তিরিশে জুন ২৪ ঘণ্টায় আমরা দেখাই এই এক্সক্লুসিভ খবর।
কলকাতা: বোস ইন্সটিটিউট। দেশের প্রথম সারির গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আর সেই প্রতিষ্ঠানেই চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। মহিলা চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। রাতবিরেতে অশালীন এসএমএস। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ। গত তিরিশে জুন ২৪ ঘণ্টায় আমরা দেখাই এই এক্সক্লুসিভ খবর।
বোস ইন্সটিটিউটে স্টেনোগ্রাফার চাই। বিজ্ঞাপনটি বেরিয়েছিল সাতই নভেম্বর দুহাজার তেরো। দুটি পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল বহু। আবেদন করেন এক তরুণীও। প্রাথমিকভাবে তেত্রিশ জন এবং এরপর ফাইনাল ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্বাবচতও হন তিনি। আপাতভাবে সবকিছু স্বাভাবিক ঠেকলেও আসলে পর্দার আড়ালে চলছিল অন্য কাণ্ড....
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন। আর সেই ফাঁদেই পা দেন ওই তরুণী। রাশ ছিল বোস ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার সুরজিত্ পাণিগ্রাহীর হাতে। তরুণীকে নিশ্চিত চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ওই তরুণী সহ দ্বিতীয় দফার ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছিলেন মোট চোদ্দ জন আবেদনকারী। পঁচিশে ফেব্রুয়ারি ছিল ইন্টারভিউ। কিন্তু সব অঙ্ক এলোমেলো করে দেয় একটি নাম গোত্রহীন ই-মেল। সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত। বিষয়টি আঁচ করেছিলেন ইন্টারভিউ বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুরাধা লোহিয়া। পিছিয়ে দেওয়া হয় ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ।দোসরা এপ্রিল রেজিস্ট্রারের সাক্ষর করা নোটিস ওঠে বোস ইন্সটিটিউটের ওয়েব সাইটে। যাতে লেখা,মেলেনি উপযুক্ত প্রার্থী। তাই বাতিল করা হল গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া। ধামা চাপা পড়ে যায় চতুর রেজিস্ট্রারের কুকীর্তি।
হাতে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে এরপর আমরা যাই বোস ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রারের কাছে। তবে তাঁর দাবি, সব অভিযোগই নাকি ভুয়ো।
সুরজিত পানিগ্রাহী বিষয়টি অস্বীকার করলেও তরুণী কিন্তু বলছেন, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রার তাঁকে ব্যবহার করেছেন। বিনিময়ে পরীক্ষার সাতদিন আগে দু-সেট প্রশ্নপত্র পর্যন্ত তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
এত বড় দুর্নীতি। এত বড় কাণ্ড। তবু কেন পার পেয়ে গেলেন রেজিস্ট্রার। শুধুই পদাধিকারবলে?