'৫ বার ঘুরল চাকা', অথচ ট্যাক্সিতে ভাড়া দিতে হল ৫০০
কলকাতা: দাদা, বড় দুর্গা দেখব, কীভাবে যাব? ট্যাক্সির ভিতর থেকে উত্তর, 'চলো, হাম লে চলেঙ্গে'। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট মেট্রো থেকে গাড়িতে চাপলেন প্রবাসী বাঙালি দম্পতি, কোলে একটি বাচ্চা। মিটার অন। গাড়ির চাকা ঘুড়তে শুরু করল। গাড়ি এগোতে না এগোতেই বন্ধ হয়ে গেল যান চলাচল। গাড়ির মধ্যেই কেটে গেল ঘণ্টা দুয়েক। ওই দম্পতি যখন গাড়ি থেকে নামলেন ট্যাক্সি চালককে ভাড়া দিলেন ৫০০।
কেন এমন হল? বিশ্বের বড় দুর্গা দেখতে 'গোটা বিশ্ব'ই যেন দক্ষিণমুখী। দেশপ্রিয় পার্কের আকাশ ছোঁয়া দুর্গাকে দেখতে গিয়ে কল্লোলিনীর রাস্তা যেন হঠাৎ ভুমধ্য সাগর। যতদুর চোখ যায় শুধু কালো মাথা। ভিড়ের ঠেলায় পরিস্থিতি হাতের নাগালে চলে যায় কলকাতা পুলিসের। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় দক্ষিণ কলকাতার সড়কপথ। গাড়ির চাকা একটু খানি এগনোও অসম্ভব। গাড়ি থেকে নেমে অন্য পথে ভ্রমণ করারও উপায়ও নেই। কাতারে কাতারে মানুষ। ফুটপাথ থেকে রাস্তা থমকে রয়েছে কলকাতা। অবশেষে ট্যাক্সির ভিতর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সময় ৫০০ টাকার ভাড়া চোকালেন ভ্রমণকারী।
একই অবস্থা মেট্রো পথেও। মেট্রোতেও টিকিটের লাইন কাউন্টার থেকে বাইরের এনট্রান্সে এসে পৌঁছেছে। প্রতিটি স্টেশনেই মেট্রো দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৭ থেকে ৮ মিনিট। এত ভিড় যে মেট্রোর দরজাও বন্ধ করতে পারছেন না চালক। সব মিলিয়ে পুজোতে ঠাকুর দেখতে এসে রাস্তায়ই সময় কেটে যাচ্ছে মানুষের।