পরিত্যক্ত টিফিন কৌটো ঘিরে কলকাতা মেট্রোয় বোমাতঙ্ক
ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিস। টিফিন কৌটোয় কী রয়েছে জানতে পরীক্ষা চালাচ্ছেন বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। তবে এই ঘটনার জন্য এদিন মেট্রো চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় বোমাতঙ্ক। পরিত্যক্ত টিফিন কৌটোকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র সদন স্টেশনে ছড়ায় বোমাতঙ্ক। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিসের ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াড। টিফিন কৌটোটিকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে সরিয়ে ফেলেছে তারা। কৌটোর ভিতর কী আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এজন্য এদিন মেট্রো চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
শনিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে তখন রবীন্দ্র সদন স্টেশনে চরম ব্যস্ততা। সেই সময়ই এক্সাইড গেটের দিকে টিকিট কাউন্টারের অদূরে পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি পরিত্যক্ত টিফিন কৌটো। মুহূর্তে বোমাতঙ্ক ছড়ায় চত্বরে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আরপিএফ-এর কর্মীরা। খবর যায় লালবাজারে। সেখান থেকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিসের ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। নিয়ম মেনে টিফিন বাক্সটিকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। আরও কোনও সন্দেহজনক বস্তু পড়ে রয়েছে কি না তা জানতে তল্লাশি চালানো হয় পুলিস কুকুর দিয়ে।
পেট্রোপণ্যের আগুন দাম, পথে প্রতিবাদ তৃণমূলের
ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষকে। এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিস। টিফিন কৌটোয় কী রয়েছে জানতে পরীক্ষা চালাচ্ছেন বোম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। তবে এই ঘটনার জন্য এদিন মেট্রো চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি। বেলা ১২টায় কৌটোটি সরিয়ে ফেলার খুলে দেওয়া হয় রবীন্দ্র সদন স্টেশনের এক্সাইড গেটের টিকিট কাউন্টার।
কলকাতা মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় সতর্ক থাকে রেল পুলিস ও কলকাতা পুলিস। মেট্রোয় থাকে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রথম স্তরে মেট্রোর সুড়ঙ্গের প্রবেশদ্বারে থাকে লাঠিধারী কলকাতা পুলিসের কর্মীরা। ভিতরে টিকিট কাউন্টারের সামনে থাকেন লাঠিধারী আরপিএফ কর্মীরা। স্টেশনে মোতায়েন থাকেন লাঠিধারী ও সশস্ত্র আরপিএফ কর্মীরা। তাছাড়া গোটা মেট্রো মুড়ে রাখা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে। নজরদারির এই বাহার এড়িয়ে কী করে কেউ টিকিট কাউন্টারের সামনে রেখে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।