এনআরএস হস্টেলে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পরও সনাক্ত হল না দেহ
কলকাতার NRS মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে যুবককে পিটিয়ে খুনের পর চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও সনাক্ত হয়নি না নিহতের দেহ। ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গড়েছে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শুরু করেছেন কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। তবে এরই মধ্যে সকাল থেকে হস্টেল ছেড়েছেন বহু আবাসিক। তদন্ত চলাকালীন কী করে তাঁরা ছাত্রাবাস ছাড়লেন তাঁরা, ইতিমধ্যেই উঠছে সেই প্রশ্ন। কেউ কিছুই দেখেননি, কেউ কিছুই শোনেননি, কেউ কিছুই জানেনও না।
NRS ছাত্রাবাসে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারা? এ প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে NRS-এর অলিন্দে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা রুজু হয়নি। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি কাউকে। অভিযুক্তরা ছাত্র এবং ভবিষ্যতের ডাক্তার বলেই কি ছাড়? তাঁদের গায়ে হাত পড়লে ধর্মঘটের সম্ভাবনার আশঙ্কায় কি গাবাঁচানো মনোভাব কর্তৃপক্ষ এবং পুলিসের? যেন কিছুই হয়নি, NRS-এর সর্বত্র এই ছাপ স্পষ্ট। কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা অবশ্য এদিন হস্টেলে যান। আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কে কোন রুমে থাকেন তার একটি তালিকাও হস্টেল সুপারের কাছ থেকে নিয়েছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেই দায় সেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেখা মেলেনি NRS মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপারেরও।
এদিন সকাল থেকেই বহু আবাসিক ছাত্রাবাস ছেড়েছেন। তদন্ত চলাকালীন কীভাবে তাঁরা হস্টেল ছাড়লেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বা পুলিস অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে, তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।