'রাজ্যপালের নির্দিষ্ট পদমর্যাদা আছে', তৃণমূলকে পাল্টা শমীকের
রাজ্যপাল বিতর্কে গেরুয়াশিবিরের অবস্থান কি?
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'যেভাবে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চলছে, তা বাংলার রাজনৈতিক ও সার্বিক সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত হচ্ছে।' রাজ্যপাল বিতর্কে প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি। দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। তাঁর যেমন নির্দিষ্ট পদমর্যাদা আছে, তেমনি বাংলার একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতি আছে।'
আরও পড়ুন: 'অপরাধীদের আড়াল' করছেন রাজ্যপাল! রাষ্ট্রপতির কাছে ধনখড়কে অপসারণের দাবি তৃণমূলের
সংঘাত ছিল বরাবরই, 'সৌজন্য'-এর মাত্রা ছাড়াল এবার। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বেলাগাম তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার পেশায় আইনজীবীও বটে। কল্য়াণের বিস্ফোরক অভিযোগ, পরপর টুইট করে 'অপরাধীদের আড়াল' করছেন রাজ্যপাল, 'সরকারি কাজে বাধা' দিচ্ছেন। খোদ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতির কাছে সরাসরি রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। যদিও পদে থাকাকালীন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্য়ায়। তবে রাজ্য়ে সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বিজেপির বিক্ষোভে রণক্ষেত্র তারাতলা: ইটবৃষ্টি, পাল্টা লাঠিচার্জ, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর
এদিকে ভোটের মুখে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। রাজ্যপাল বিতর্কে গেরুয়াশিবিরের অবস্থান কি? সাংবাদিক সম্মেলনে তা স্পষ্ট করে দিলেন দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য। রাজনীতির সীমানা ছাড়িয়ে 'বাংলার সংস্কৃতি'-কে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তুললেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের একের পর এক টুইটে সরকারের বিড়ম্বনা বাড়ছে। সম্প্রতি গরুপাচার ও কয়লাকাণ্ড নিয়ে টুইটের পর ঘটল বিস্ফোরণ।