১৫ বছর পর বিধানসভায় পা, বিজেপির লক্ষ্য এবার ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচন
দীর্ঘ পনেরো বছর পর বিধানসভায় পা রাখার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য বিজেপি নেতারা। উপনির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভরসা রেখে এ বার তাঁদের লক্ষ্য দু-হাজার ষোলোর বিধানসভা নির্বাচন।
কলকাতা: দীর্ঘ পনেরো বছর পর বিধানসভায় পা রাখার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য বিজেপি নেতারা। উপনির্বাচনের ফলাফলের ওপর ভরসা রেখে এ বার তাঁদের লক্ষ্য দু-হাজার ষোলোর বিধানসভা নির্বাচন।
ভোটের ফল বেরনোর পর এটাই ছিল বিজেপি রাজ্য দফতরের ছবি।
১৯৭৭-এ সাবেক জোড়াবাগান বিধানসভা কেন্দ্রে জনতা পার্টির টিকিটে জিতেছিলেন হরিপদ ভারতী। পরে বিজেপির প্রথম রাজ্য সভাপতি হন তিনি।
১৯৯৯-এ তৃণমূলের সঙ্গে জোট থাকাকালীন অশোকনগর কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় গিয়েছিলেন বিজেপির বাদল ভট্টাচার্য।
২০১৪-র বিধানসভা উপনির্বাচনে একক শক্তিতে রাজ্য বিধানসভায় পা রাখল বিজেপি।
বসিরহাটে জিতলেও চৌরঙ্গিতে হারতে হয়েছে। তবে, এই হারকে পাত্তা দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতারা। কারণ, চৌরঙ্গিতে দলের ভোট বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। আর তাই, ভোটে হেরেও দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাসে সামিল এই কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী রীতেশ তিওয়ারি।
২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ৬.৬% ভোট পেয়েছিল বিজেপি।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তা কমে দাঁড়ায় ৪%।
গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপির ভোটের হার ছিল ১৬.৮%
তিন বছরে এরাজ্যে দলের ভোট চারগুণের বেশি বাড়ায় রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার ক্যারিশমার ওপরই ভরসা রাখছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
উপনির্বাচনের ফল বেরনোর পর রাহুল সিনহাকে ফোনে
অভিনন্দন জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহ। মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিল প্রায় দু-ডজন ক্যামেরা। সাংবাদিকদের ভিড়ে ঘরে পা ফেলার জায়গা নেই। কয়েক মাস আগে খোদ বিজেপি নেতারাও এমনটা ভাবতে পারতেন না। উচ্ছ্বাসের এই আবহেই তাঁদের পরবর্তী লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
আগামী বছর কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। পুরভোটে শাসকদলের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ঝাঁপাতে চাইছে রাজ্য বিজেপি।