শুধু মুক্তিপণের জন্য খুন হয়নি বিট্টু, সন্দেহ পুলিশের

পাঁচটি ফোনকল। হুমকি ফোন। মুক্তিপণের দাবি। তারপর উদ্ধার উধাও কিশোরের নিথর দেহ। আড়াইঘণ্টায় শেষ হয়ে গেল একটি তাজা প্রাণ। কিছুই করতে পারল না পুলিস থেকে পাড়াপড়শি।

Updated By: Feb 22, 2016, 03:53 PM IST
শুধু মুক্তিপণের জন্য খুন হয়নি বিট্টু, সন্দেহ পুলিশের

ওয়েব ডেস্ক: পাঁচটি ফোনকল। হুমকি ফোন। মুক্তিপণের দাবি। তারপর উদ্ধার উধাও কিশোরের নিথর দেহ। আড়াইঘণ্টায় শেষ হয়ে গেল একটি তাজা প্রাণ। কিছুই করতে পারল না পুলিস থেকে পাড়াপড়শি।

বিকেলে পাড়ার পার্কেই খেলছিল বিট্টু। সন্ধেয় খেলাশেষে বাড়ির পথ ধরে। এদিন আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল। কিন্তু বিট্টুর যে কী হল কেউ জানে না। পৌনে নটা নাগাদ ৮৯৮১৭৪৫৬৮৬ নম্বর থেকে ফোন আসে বিট্টুর বাবার মোবাইলে।

'তোর ছেলে আমার কাছে, ৫০০০০ টাকা রেডি কর,  ১ ঘণ্টা পর ফোন করছি,  কোথায় টাকা দিতে হবে বলে দেব। কানে কি কম শুনছিস? বাংলা কথা বুঝিস না? তোর ছেলেকে দুটুকরো করে ফেলে দেব, টাকাটা রেডি কর। আবার ১ ঘণ্টা পর ফোন করছি।'

এরপর ওই নম্বরেই ফের কলব্যাক করা হয় বিট্টুর পরিবারের তরফে। দেখা যায় ফোন এনগেজড। তারপর সুইচড অফ হয়ে যায়।

রাত সাড়ে নটার পর আবার আসে ফোন। 'পাড়ার লোকজনদের জানাচ্ছিস?  বেশি প্যানপ্যান করিস না।'

এরপর পাড়ার লোকেদের নিয়ে হরিদেবপুর থানায় যান বিট্টুর বাবা। থানার সাবইন্সপেক্টরের সামনেই আসে ফোন। 'থানায় গেলি কী করতে? ১০ মিনিট পর ফোন করে বলছি কোথায় আসতে হবে'।

ছেলেকে ফেরত দিতে ফের অনুনয় বিনয় করেন নির্মল দাস। রাত দশটাতেও আসে হুমকি ফোন। এবার বিট্টুর মা জানান, তাঁদের কান্না দেখেই পাড়ার লোকেরা বুঝতে পেরেছেন। তবে টাকা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এরপর আর ফোন আসেনি। ওই নম্বরে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। আবার খোঁজাখুঁজি করা হলে রাত এগারোটায় বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে উদ্ধার হয় বিট্টুর দেহ। 

শুধু মুক্তিপণ চেয়ে খুন নয়। বেহালায় বিট্টু হত্যায় রয়েছে অন্য রহস্য। এমনই সন্দেহ পুলিসের। পুলিস সূত্রে খবর,  অনেক আগেই খুন করা হয় বিট্টুকে। কারণ, রাইগর মর্টিস শুরু হয়ে গিয়েছিল। অর্থাত্‍ দেহ শক্ত হতে শুরু করেছিল।

জানা যাচ্ছে আরও একটি তথ্য। বিট্টু যাঁর কাছে টিউশন পড়ত সেই স্যার একমাস আগে বিট্টুর মাকে ডেকে পাঠান। জানানো হয়, সহপাঠী এক ছাত্রীর ফোন নম্বর অন্য একজনকে দিয়েছে বিট্টু। তারপরেই ওই ছাত্রীর পিছু নিত এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। একথা জানত বিট্টু। এই দুই তথ্য থেকেই পুলিস সন্দেহ করছে যে শুধুমাত্র মুক্তিপণের জন্য খুন করা হয়নি বিট্টুকে। রয়েছে অন্য রহস্য।

.