সন্ত্রাস বন্ধ না হলে আন্দোলনে নামবে বামেরা, জানিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রীকে

সন্ত্রাস বন্ধের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ঘণ্টা খানেক বৈঠক চলে দুপক্ষের। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ত্রাস মোকাবিলায় শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় চেয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এরপরেও ব্যবস্থা না নিলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বামফ্রন্ট।

Updated By: Jun 9, 2014, 11:07 PM IST

সন্ত্রাস বন্ধের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ঘণ্টা খানেক বৈঠক চলে দুপক্ষের। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ত্রাস মোকাবিলায় শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় চেয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এরপরেও ব্যবস্থা না নিলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বামফ্রন্ট।

রাজ্যজুড়ে লাগাতার সন্ত্রাস। ঘরছাড়া তাদের বহু কর্মী,সমর্থকেরা। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে সরব বামেরা। মিটিং মিছিল, রাস্তায় নেমে আন্দোলন। অসংখ্যবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। জবাব মেলেনি। রাজ্যে সরকার ও বিরোধী দলের এই সম্পর্কের মধ্যেই বিমান বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে প্রায় একঘণ্টার বেশি সময় বাম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় সন্ত্রাসের তালিকা। বৈঠক করলেও মুখ্যমন্ত্রী আদৌ কতটা ব্যবস্থা নেবেন তা নিয়ে সংশয়ে বাম নেতৃত্ব।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাম প্রতিনিধিদলকে প্রস্তাব দেন তাদের মধ্যে কেউএকজন রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করবেন। বামেদের তরফে রবিন দেব সরকার পক্ষের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর সমন্বয় রক্ষার ভার ন্যস্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোনও ঘটনা ঘটলেই পার্থ বাবুকে তা জানাবেন রবীন দেব। প্রয়োজনে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেও ফোন করে জানাতে পারবেন বিরোধীরা। এদিন বিধানসভাতেও রাজ্যে সন্ত্রাস নিয়ে সরব হন বাম বিধায়করা। সন্ত্রাস নিয়ে আনা হয় মুলতুবি প্রস্তাব। পরে ওয়াকআউট করেন বাম বিধায়করা।

রাজ্যের সন্ত্রাস বন্ধের জন্য বাম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্মন্ত্রী নিজে বৈঠক করছেন নিঃসন্দেহে তাত্‍পর্যপূর্ণ ঘটনা,বিরল ছবি। কারন বামেদের এই সন্ত্রাসের দাবিকে এরআগে কখনও আমলই দেয়নি রাজ্য সরকার। তাহলে হঠাত্‍ কেন এই ভোলবদল? তা নিয়েই রাজনৈতিকমহলে আলোচনা তুঙ্গে।

.