ধর্মঘটের বিরোধিতা মমতার; ঘোমটা সরে গেল,বিজেপি-যোগের অভিযোগ সিপিএমের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফের বিজেপি যোগের অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইস্যু সমর্থন করছেন। তবে রাজ্যে ধর্মঘট করতে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ঘোষণার অপেক্ষাতেই যেন ছিল বামেরা! মঙ্গলবার নাম না করে তাঁকে বিজেপির সঙ্গী ও শ্রমজীবীবিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সিপিএম নেতারা। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথায়,''যতই মায়াকান্না করুন না আসলে উনি শ্রমিক-কর্মচারীর স্বার্থ দেখতে চান না।'' রাজ্য সম্পাদকের হুঙ্কার, যে-ই ধর্মঘট বিফল করতে রাস্তায় নামবে, চোখে চোখ রেখে লড়াই করব। মমতার ভরসায় কেউ ধর্মঘট ডাকেনি বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
ধর্মঘটের ইস্যুগুলিকে সমর্থন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ধর্মঘট করতে দেবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেছে বামেরা। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথায়, ''এনআরসি, এনপিআর সিএএ নিয়ে যতই মায়াকান্না করুন না আসলে উনি শ্রমিক-কর্মচারীর স্বার্থ দেখতে চান না। কোটি কোটি বেকার যুবকযুবতীর চাকরির পাক, সেটা চায় না। আমরা ধর্মঘটকে সমর্থন করেছি।''
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফের বিজেপি যোগের অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়,''ধর্মঘট শ্রমজীবী, মেহনতি মানুষ করবেন, যাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে, যাঁরা ন্যূনতম বেতন চাইছেন। গোটা দেশের মানুষ ঠিক করবেন না, ক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচারী মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন না। মানুষ দেখছে, ঘোমটার আড়ালে যারা নেচেছে তাদের ঘোমটা সরে যাচ্ছে।''
এর আগে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন, ''নিজেকে বামপন্থী বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসল বামপন্থী হলে বনধকে সমর্থন করুন।'' তবে কি মমতাকে পাশে চেয়েছিল বামেরা? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসায় কেউ ধর্মঘট ডাকেনি। ধর্মঘটের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারকেই সমর্থন দিচ্ছেন উনি। ওনার দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে গিয়েছে।''
একইসুরে দিলীপ ঘোষও কটাক্ষ করেছেন, মমতার ভরসায় সিপিএম বনধ করতে নেমেছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বনধকে সমর্থন করি না। যে কারণে বনধ ডাকা হয়েছে, সেনিয়ে সবার আগে আন্দোলনে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
আর্থিক মন্দা, বেকারত্ব, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, নাগরিকপঞ্জি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির বিরোধিতায় বুধবার ভারতজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। কৃষক সংগঠনগুলি তাদের সমর্থন করেছে। আগামিকাল ধর্মঘট হচ্ছে, ধর্মঘট হবেই বলে জানিয়েছেন বিমান বসু।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার 'প্রতিবাদের শহরে' ১১ জানুয়ারি রাত কাটাতে চলেছেন মোদী