মাটির নীচের তার পুড়েই বিস্ফোরণ বিবাদী বাগে, প্রাথমিক তদন্তে জানাল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের
মাটির নীচে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন গ্যাস সেই গ্যাসের চাপেই এই বিস্ফোরণ বলে মনে করছেন ফরেন্সিক টিম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিইএসসি বা বিএসএনেলের তার পুড়েই বিবাদী বাগে বিস্ফোরণ। প্রাথমিক তদন্তের পর সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের ৩.৫ ফুট গভীরে সিইএসসি এবং বিএসএনএলের তার রয়েছে। সেখান থেকেই ধোঁয়া তৈরি হয়ে জমে ছিল দীর্ঘদিন। তা থেকেই মাটির নীচেই তৈরি হয় মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন গ্যাস। এরপর সেই গ্যাসের চাপেই রবিবার বিবাদী বাগে বিস্ফোরণ বলে মনে করছেন ফরেন্সিক টিম।
যদিও এর আগেই বিবাদী বাগে বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করেছে সিইএসসি। তাদের দাবি, বিস্ফোরণের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। বৈদ্যুতিক কারণে বিস্ফোরণ হলে সিইএসসির সমস্ত সামগ্রী অটুট থাকত না।
রবিবার বিকেল ৫.৪০ মিনিটে বিনয় বাদল দীনেশ বাগে স্টিফেন হাউজের সামনে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ফুটপাথে তৈরি হয় ১০ ফুট গভীর গর্ত। ফুটপাথের ইট ছিটকে গিয়ে পড়ে প্রায় ২০ ফুট দূরে। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত এটিএম। রবিবার হওয়ায় গোটা ডালহৌসি চত্বর ছিল শুনশান। তাই হতাহতের কোনও খবর নেই।
আরও পড়ুন: বিবাদী বাগ বিষ্ফোরণের জের, এলাকার বাড়িগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে KMRCL
এ দিন বিস্ফোরণের পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও দমকল। প্রাথমিক তদন্তের পর বৈদ্যুতির শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ বলে দাবি করে দুপক্ষই। এ দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিইএসসির আধিকারিকরাও।যদিও সিইএসসির তার পুড়ে যাওয়ার কথা মানতে নারাজ সিইএসসির আধিকারীকরা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলতে চাননি তাঁরা। জানিয়েছেন সন্ধে নাগাদ একটি বিবৃতি দিয়েই সিইএসসির বক্তব্য জানানো হবে।