ফের অতিসক্রিয়তার দায়ে পুলিস

ফের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। এবার কাঠগড়ায় বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস। অভিযোগ, কোনও অ্যারেস্ট মেমো না-দিয়েই মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে ২ ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

Updated By: Apr 18, 2012, 07:33 PM IST

ফের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। এবার কাঠগড়ায় বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস। অভিযোগ, কোনও অ্যারেস্ট মেমো না-দিয়েই মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে ২ ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় প্রায় একমাস পার হলেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রহৃতের তরফে এব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হলে হাইকোর্ট বারাকপুর পুলিসকে কার্যত তিরস্কার করে একমাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলে। এফআইআর-এ ১০ জনের নাম থাকলেও শুধু জয়দেব রায় ও মৃত্যুঞ্জয় গুহ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ২ জনের মধ্যে একজনের পরিবারের তরফে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয় মঙ্গলবার। অভিযোগে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারির সময় অভিযুক্তের পরিবাররে কোনও অ্যারেস্ট মেমো দেয়নি পুলিস। গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুসারে, কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে অ্যারেস্ট মেমো দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই নির্দেশিকার কোনও রকম তোয়াক্কা না বারাকপুর পুলিস তা করে আদতে রাজনৈতিক প্রভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে পুলিসের ভূমিকায়।
এদিন ধৃতদের জামিন দিয়ে দেয় আদালত। অর্থাত্‍ পুলিস যে অভিযোগ এনেছিল, তা ঠিক নয় বলে মনে করেছেন বিচারক। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সমাজে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত, তাঁদের এভাবে গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল? ২৮ তারিখের ঘটনায় প্রায় দুমাস হতে চললেও এফআইআর-এ অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে মাত্র দুজনকে গ্রেফতার করতে পারল পুলিস। অথচ, এই ঘটনায় দ্রুত গ্রেফতার প্রমাণ করে পুলিসের অতিসক্রিয়তার। পুলিসের ভূমিকার সমালোচনা করেছে খোদ হাইকোর্ট।
 

.