'বাস কেন চলবে আজকে?', জোর করে আটকানোর চেষ্টা মৌলালি মোড়ে, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
যদিও নেতৃত্ব দাবি করেছেন যে, কোথাও জোর করে বনধ পালন করা হবে না। সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কোথাও জোর করে আটকানো হবে না মানুষকে বা রাস্তা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মৌলালি মোড়ে ধর্মঘটীদের তাণ্ডব। বাস আটকানোর চেষ্টা করলেন বনধ সমর্থকরা। একইসঙ্গে গোটা রাস্তা জুড়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় টায়ার ও খড়। বনধ সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় মিনিট ১৫-২০ অবরুদ্ধ থাকে মৌলালির মত ব্যস্ততম মোড়। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বামেদের ডাকে আজ রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার বনধ। বামেদের ডাকা এই বনধে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসও। বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র-যুবদের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জ, দমননীতির প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বনধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও নেতৃত্ব দাবি করেছেন যে, কোথাও জোর করে বনধ পালন করা হবে না। সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কোথাও জোর করে আটকানো হবে না মানুষকে বা রাস্তা। সুজন চক্রবর্তীও একইসুরে বলেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনেই বনধ পালিত হবে। তবে জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও সামনে এসেছে।
মৌলালি মোড়ে বাস আটকানোর চেষ্টা করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বনধ সমর্থকদের ঝাঁঝালো প্রশ্ন, "বাস কেন চলবে আজকে? মেরে হাত, পা ভেঙে দিয়েছে! কেন বাস চলবে?" প্রসঙ্গত, যাদবপুরেও রেল অবরোধের ছবি সামনে এসেছে। আটকানো হয় হাসনাবাদ লোকাল, বারুইপুর লোকাল। যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডেও অবরোধ করা হয়। ওদিকে, আসানসোলের বেশ কিছু এলাকায় বনধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় পথচারী ও বাইক আরোহীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, অবরোধ তুলতে এলে পুলিসকে চকোলেট বামকর্মীদের