Baguiati Student Murder: বাগুইআটি কাণ্ডের তদন্তে কেন অবহেলা! প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
গত ২২ আগস্ট বাগুইআটি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় দশম শ্রেণির দুই ছাত্র অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। দুদিনের মধ্যে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাসন্তী হাইওয়ের পাশে একটি খালে। সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিস। কিন্তু সেই খবর বিধাননগর পুলিস কমিশনেটে কেন এল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে
সুতপা সেন: কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ২ ছাত্রের মৃতদেহ পুলিসের হেফাজতে দিনের পর দিন পড়ে রইল আর তার খোঁজই পাওয়া গেল না? অভিভাবকরা নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করতে এলেও তা নেওয়া হল অনেক পরে। বাগুইআটিতে দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্করের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রশাসনিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, বাগুইআটি কাণ্ডের তদন্তে পুলিস অবহেলা করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, আইসি কী করছিল? এরকম আইসিকে সাসপেন্ড করা উচিত। প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকের পরই বাগুইআটির আইসিকে ক্লোজ করা হয়।
আরও পড়ুন-Baguiati Student Murder: খুনের আগে হোটেলে 'মিটিং' সতেন্দ্রর, কাজ হলে মোটা পারিশ্রমিকের প্রতিশ্রুতি
বাগুইআটির ২ পড়ুয়ার খুনের ঘটনায় বিজেপির বিক্ষোভে তোলপাড় হয়েছে বাগুইআটি থানা এলাকা। বিক্ষোভ দেখাতে আসেন শুভেন্দু অধিকারীও। সূ্ত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন দুই ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে দায়সারা মনোভাব দেখিয়েছে পুলিস। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন বিধানননগর পুলিস কমিশনারেটের বিরুদ্ধে। ওই তদন্ত নিয়ে পুলিসের আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে তিনি পুলিস কর্তাদের জানান। পুলিসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট বাগুইআটি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় দশম শ্রেণির দুই ছাত্র অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। দুদিনের মধ্যে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাসন্তী হাইওয়ের পাশে একটি খালে। সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিস। কিন্তু সেই খবর বিধাননগর পুলিস কমিশনেটে কেন এল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। সূত্রের খবর এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঘটনা এখনওপর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই অপহরণ ও খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত সত্যন্দ্র চৌধুরি। তদন্তে উঠে আসছে, খুনের কয়েকদিন আগে বিধানগর কমিশনারেট এলাকার রাজারহাটের একটি হোটেলে “মিটিং” করে সতেন্দ্র। সেখানে অন্য অভিযুক্ত অভিজিৎ-সহ বাকিদের কাজ হাসিল হলে টাকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। প্রত্যেককে ২ বা ৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিস। অভিজিৎ-সহ বাকি অভিযুক্তদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, কয়েকদিন আগে বিধাননগর এলাকায় অভিজিতের সঙ্গে একটি হোটেলে দেখা করে সত্যেন্দ্র চৌধুরী। সেই হোটেল কাজ করত অভিজিৎ। বাকি তিনজনকেও জোগাড় করে সত্যেন্দ্র। পরে ওই হোটেলেই হত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়। যদিও প্রধান টার্গেট ছিল অতনু। কিন্তু সেদিন অতনুর সঙ্গে পিসতুতো ভাই অভিষেক থাকায় খুন হতে হয় তাকেও।