প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা টিএমসিপি`র, উত্তপ্ত কলেজ স্ট্রিট চত্বর

প্রেসিডেন্সি কলেজে হামলা চালাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। জোর করে কলেজের গেট ভেঙে ঢুকে বল্লম, বর্ষা হাতে তাণ্ডব চালাল একদল টিএমসিপি সদস্য। তারা বহিরাগত বলেই অভিযোগ। এসএফআই, আইসি সংগঠনের ছাত্রদের পাশাপাশি হামলা চালানো হয় সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের উপরেও। এই হামলায় কয়েকজন এসএফআই সমর্থক গুরুতর জখম হয়েছেন।

Updated By: Apr 10, 2013, 02:43 PM IST

রাজ্যজুড়ে হামলার জের এবার পৌঁছোল ঐতিহ্যবাহী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, দলীয় পতাকা হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেইসময়ে প্রেসিডেন্সিতে সিলেকশন টেস্ট চলছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বেড়িয়ে আসেন অধ্যাপকরা। হামলা চালানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ওপর।
হামলায় বেশ কয়েকজন এসএফআই সমর্থক জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এখানেই শেষ নয়। অভিযুক্ত টিএমসিপি সমর্থকরা এরপর ভাঙতে শুরু করে শতাব্দীপ্রাচীন পদার্থবিদ্যার ল্যাবরেটরিটি। এই বেকার ল্যাবরেটরিতেই গবেষণা করেছেন বহু  বিশিষ্ট পদার্থবিদ। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই  কলেজস্ট্রিটে পথ অবরোধ শুরু করেছেন নিগৃহীত ছাত্ররা।
প্রেসিডেন্সিতে হামলার ঘটনায় শাসকদলের ছাত্র সংগঠনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মালবিকা সরকার। পুলিসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ উপাচার্য গোটা বিষয়টি রাজ্যপালের নজরে আনবেন বলেও জানিয়েছেন।
একই সুর শোনা গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গলাতেও। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিস-প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায়  বারবার পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেনি প্রশাসনি। প্রেসিডেন্সিতে হামলার ঘটনায় শাসকদলের ছাত্রসংগঠনকেই দায়ী করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। অধ্যাপকদের দাবি, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বারবার পুলিসি পাহারার জন্য আবেদন করেন তাঁরা। তবে নিরাপত্তার কোনও বন্দোবস্তই করা হয়নি বলে অভিযোগ অধ্যাপকদের।

.