ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের হাত করেই দেশজুড়ে এটিএম জালিয়াতির জাল!
ধৃত রোহিত ও সইদ-ও পুলিসি জেরার মুখে জানিয়েছে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মাদক কারবারের মতো এটিএম জালিয়াতির ক্ষেত্রেও 'সফ্ট টার্গেট' সেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা। দিল্লি থেকে ধৃত ২ রোমানিয়ান নাগরিককে জেরা করে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ধৃত ২ রোমানিয়ান নাগরিক পুলিসি জেরার মুখে জানিয়েছে, এটিম মেশিনে স্কিমার বসানো থেকে হ্যাকিং করার জন্য টার্গেট করা হত ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের। ভারতের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের তাদের চক্রে নিয়োগ করা হত। তারপর সেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা-ই পরিকল্পনা মাফিক এটিএম-এ স্কিমার লাগাত। চুরি করা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হত নকল এটিএম কার্ড। দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় ছিল এই চক্র। ধৃত রোহিত ও সইদ-ও পুলিসি জেরার মুখে জানিয়েছে তারা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছে।
আরও পড়ুন, স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া? পুরুষাঙ্গ কেটে 'প্রেমিক'কে খুন স্বামীর
শুধু যে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এমনই নয়, প্রযুক্তিবিদ্যায় দক্ষতা আছে এমন যেকোনও ব্যক্তিকেই হাত করছে এই চক্র। তদন্তে আরও জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের পাশাপাশি এটিএম জালিয়াতির চক্রে নিয়োগ করা হত বেকার বা সদ্য চাকরিহারা যুবকদেরও। মূলত অর্থলোভ দেখিয়েই তাদের ফাঁদে ফেলা হত। অন্যদিকে, কার্ড জালিয়াতির পর মোটা অঙ্কের কমিশন আদায় করত ধৃত রোমানিয়ান নাগরিকরা। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, মোট অঙ্কের কুড়ি শতাংশ কমিশন নেওয়া হত।
দিল্লির বসন্ত বিহার থেকে ২ রোমানিয়ান নাগরিককে ধরে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ক্লোন কার্ড, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ, স্কিমার মেশিন। ধৃতদের জেরা করে জানা যায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতাতেই ছিল তারা।
আরও পড়ুন, করুণানিধির শেষকৃত্য: তামিল সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মমতার ফোন মোদীকে
কসবা এলাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা। সেখানে থেকেই শহরের বিভিন্ন এটিএম-এ রেইকি করে। তৈরি করা হয় এটিএম জালিয়াতির ব্লুপ্রিন্ট। শহরের বিভিন্ন এটিএম-এ বসানো হয় স্কিমার। তারপরই শুরু হয় অপারেশন।
আরও পড়ুন, McDonald's-এ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুমোতে যাচ্ছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ!
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে এটিএম জালিয়াতির বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। দেখা যায়, দিল্লির বিভিন্ন এটিএম থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিস ও লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ। এরপরই খুলতে থাকে এটিএম জালিয়াতির জাল।