কাজ নেই কলকাতায়, কাঠগড়ায় সরকারের শিল্পনীতি
দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটনগুলির তুলনায় কর্মসংস্থানে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। অ্যাসোচ্যামের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় মিলেছে এমনই তথ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের বর্তমান সরকারের শিল্পনীতিই অনেকাংশে এর জন্য দায়ী।
দেশের অন্যান্য মেট্রোপলিটনগুলির তুলনায় কর্মসংস্থানে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। অ্যাসোচ্যামের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় মিলেছে এমনই তথ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের বর্তমান সরকারের শিল্পনীতিই অনেকাংশে এর জন্য দায়ী।
অ্যাসোচেমের সাম্প্রতিক রিপোর্ট জব স্ট্রেংথ অ্যাক্রশ সিটিস অ্যান্ড সেক্টরসের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে,
২০১২-১৩ আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে এপ্রিল থেকে জুনে কলকাতায় বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান কমেছে ৩৩ শতাংশ। এই তিন মাসে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ হাজার ৪০০ জনের। দিল্লিতে এই তিনমাসে কর্মসংস্থানের পরিমাণ ২৯ হাজার। ২০১২-র জানুয়ারি থেকে মার্চে ৪ হাজার ২০০ জনের কর্মংস্থান হয়েছে কলকাতায়। সারা দেশে এই তিন মাসে কর্মসংস্থানের পরিমান দেড় লক্ষ। দেশের নিরিখে কলকাতায় কর্মসংস্থানের শতকরা হিসাব ৪.৩। দিল্লিতে কর্মসংস্থানের পরিমান ২৩ শতাংশ। মোট ৩ হাজার ৫০০টি সংস্থার ওপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল অ্যাসোচ্যাম। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে জব পোর্টালে যে কাজের বিজ্ঞাপন তার ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
কর্মসংস্থানে মেট্রোপলিটন শহরগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে দিল্লি, দ্বিতীয় মুম্বই, তৃতীয় ব্যাঙ্গালুরু, চতুর্থ পুনে, পঞ্চম চেন্নাই ও একবারে শেষস্থানে রয়েছে কলকাতা। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০১২-র এপ্রিল থেকে জুন এই তিনমাসে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কলকাতায় ১৯০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে ৩১৪, শিক্ষাক্ষেত্রে ৩০৭, উত্পাদন শিল্পে ২৭৫,ফিনান্স সার্ভিস বা আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে ২৫৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা আর্থিক মন্দার কারণে দেশজুড়েই কর্মসংস্থানে বড় বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। কমেছে আর্থিক বিকাশের হার, ব্যাহত হয়েছে শিল্প উন্নয়ন। তবে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে মন্দার প্রভাব অনেকটাই বেশি। তার অন্যতম বড় কারণ বর্তমান সরকারের শিল্পায়ন নীতি। সরকারের জমি নীতির জেরে রাজ্যে বিনিয়োগে উত্সাহ হারাচ্ছেন শিল্পপতিরা। নতুন শিল্প না হওয়ায় কর্মসংস্থানেও ভাটা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও বারবারই দাবি করছেন শিল্প বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে তার সরকার যথেষ্টই কার্যকরী হয়েছে। কিন্তু অ্যাসোচেমের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে অন্য কথা।