রাজ্যবাজেটের সমালোচনা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর
বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র রাজ্যের বিরাট ঋণের বোঝার জন্য পূর্বতন বাম সরকারকে দায়ী করেছেন। শুধু অর্থমন্ত্রীই নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও অভিযোগ, বামেদের নীতির কারণেই এই মুহূর্তে মাথাপিছু ঋণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে প্রথম। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খন্ডন করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।
বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র রাজ্যের বিরাট ঋণের বোঝার জন্য পূর্বতন বাম সরকারকে দায়ী করেছেন। শুধু অর্থমন্ত্রীই নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও অভিযোগ, বামেদের নীতির কারণেই এই মুহূর্তে মাথাপিছু ঋণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে প্রথম। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খন্ডন করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট বলছে, মাথাপিছু ঋণের নিরিখে এই মুহূর্তে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান বারো নম্বরে। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবি, বাজেটে রাজ্য সরকার যে সমস্ত তথ্য দিয়েছে, তার অনেকগুলি অস্পষ্ট।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবি, বাজেটে কর্মসংস্থান কীভাবে হবে, সেকথা বলা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, সেচ, ক্ষুদ্রশিল্প, গ্রামোন্নয়নের মতো যে সব দফতরে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, সেখানে বাজেট বরাদ্দ যত্সামান্য। তাঁর বক্তব্য, সেই কারণেই মুখে দশ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বললেও, বাজেটে তা লেখার সাহস দেখাননি অর্থমন্ত্রী।
ঋণের বোঝা ইস্যুতে শনিবার কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারকেই কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, দুই সরকারেরই বোঝা উচিত, ঋণের অন্যতম বড় কারণ স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যের সাফল্য। আমানতকারীদের জমানো এবং তুলে নেওয়ার পর যে টাকা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে থাকে, তাকে ঋণ হিসেবে দেখা হয়। স্বভাবতই সেই বিরাট পরিমাণ টাকার ওপর সুদ দিতে হয় রাজ্যকে।