Sukanta Majumdar: 'বিরোধীদের মুখ তো এখন কেজরি, চ্যালেঞ্জের মুখ মমতার নেতৃত্ব', আপ-র ফল নিয়ে সরব সুকান্ত মজুমদার
এবার বিরোধীরা ঠিক করবেন তাদের মুখে কে হবেন। মমতার নেতৃত্বেই এবার চ্য়ালেঞ্জের মুখ পড়বে
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদের মুখ মমতা না কেজরিওয়াল? এবার এই প্রশ্নটা উঠবে। পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফলাফল নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুরে সরকার গঠনের পথে বিজেপি। অন্যদিকে, পঞ্জাবে কংগ্রেসকে সরিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তাহলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সম্ভবত বিরোধী জোটের মুখ কে? মমতা নাকি কেজরিওয়াল? এনিয়ে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের বাইরে নেই তৃণমূল। অন্যদিকে, কেজরিওয়ালের দল এবারে দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাবেও সরকার চালাবে। এবার বিরোধীরা ঠিক করবেন তাদের মুখে কে হবেন। মমতার নেতৃত্বেই এবার চ্য়ালেঞ্জের মুখ পড়বে। বিরোধী শিবির থেকে প্রশ্ন উঠবে,বিরোধীদের মুখে মমতা কেন? কেজরিওয়াল কেন নন? কারণ তিনি তো পঞ্জাব জয় করেছেন।
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। এনিয়ে ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেছেন, "কংগ্রেসটা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরাও ছিলাম ওই দলে। বুঝতে পারছি না কেন একটা এত পুরনো একটা দল বিলুপ্তির পথে। কংগ্রেসের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়া। তাহলে গান্ধীবাদ এবং সুভাষবাদকে নিয়ে আমরা জাতীয়স্তরে গডসেবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারব।" এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেবে কংগ্রেসের সঙ্গে, নাকি কংগ্রেস তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হবে তা তাদের ব্যাপার। দুটো পরিবার এখন লড়াই করছে। এক মা তাঁর বেকার ছেলেকে সাকার করার চেষ্টা করছেন। আর একজন পিসি তার ভাইপোকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করছে। তারা নিজেরা বুঝে নিক কে কাকে দাঁড় করাবে।
বিধানসভা ও পুরসভা ভোটের পর রাজ্য বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরেছে। একের পর এক নেতা দল ছেড়ে যাচ্ছেন। সংগঠনেরও সেই ক্ষমতা আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যের ফলাফলের পর কি এবার সংগঠন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২১ এই অল্প সময়ের মধ্যে এরাজ্য বিজেপি দ্রুত বেড়ছে। সেই দিক থেকে দেখতে গেল এই বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারিনি। গত ২ মের পর আমরা যে ধরনের সন্ত্রাসের সম্মুখীন হয়েছি তাতে যেটুকু সংগঠন ছিল তারও ক্ষতি হয়ে হয়ে গিয়েছে। কারণ টার্গেট করে আমাদের নেতাদের আক্রমণ করা হয়েছে। অনেকে ঘরছাড়া। সেই সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
এই নির্বাচনে বিজেপির আত্মসন্তুষিটর কোনও কারণ নেই। কারণ এই নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি। এমনটাই বলেছেন ফিরহাদ হাকিম। এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ফিরহাদবাবুকে মনে করিয়ে দিতে চাই, চোরের মন পুলিস পুলিস। যারা পকেটমার তারা অন্যকেও তেমন মনে করে। স্বাভাবিকভাবে যারা রিগিং করতে অভ্যস্ত তারা মনে করে গোটা দেশে এরকম হয়। গোটা দেশে এরকম হয় না। রিগিং, কাটমানি মতো শব্দ অন্যান্য রাজ্য পরিচিত নয়। এটা বাংলার রাজনমীতির সঙ্গে ঢুকে গিয়েছে। এর থেকে বাংলাকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজ্যের মানুষ ভাবছে নিশ্চয়। আগামিদিনেও ভাববে।