বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জেল হেফাজত অরুণাভ ঘোষের
বিধানসভার অধ্যক্ষকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জেল হেফাজত হল কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের। আজ অধিবেশন চলাকালীন তাঁকে বিধানসভাতেই তৈরি অস্থায়ী জেলে রাখার রায় দেন স্পিকার। এই রায়ের পরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস বিধায়করা। বিচারের সময় অরুণাভ ঘোষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর আইনজীবী। এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।
বিধানসভার অধ্যক্ষকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জেল হেফাজত হল কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের। আজ অধিবেশন চলাকালীন তাঁকে বিধানসভাতেই তৈরি অস্থায়ী জেলে রাখার রায় দেন স্পিকার। এই রায়ের পরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস বিধায়করা। বিচারের সময় অরুণাভ ঘোষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর আইনজীবী। এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।
চব্বিশ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ করেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রিভিলেজ কমিটিতে। শেষ পর্যন্ত প্রিভিলেজ কমিটি অরুণাভ ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে। সমন পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয় বিধানসভায়।
বেলা ঠিক দেড়টা। দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বিধানসভায় আসেন অরুণাভবাবু। কংগ্রস পরিষদীয় দলের ঘরে বিধায়কদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
লাল কাপড় দিয়ে ঘিরে বিধানসভা কক্ষেই তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী কাঠগড়া। বেলা আড়াইটেয় বিধানসভার দ্বিতীয় পর্বের অধিবেশন শুরু হতেই পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার স্বাধিকারভঙ্গ করায় অরুনাভ ঘোষের শাস্তি চেয়ে প্রস্তাব আনেন। এরপরেই অধ্যক্ষের নির্দেশে অরুণাভবাবুকে অধিবেশন কক্ষে নিয়ে আসেন মার্শাল।
অস্থায়ী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই অরুনাভবাবু শোনেন অধ্যক্ষের রুলিং, বিধানসভার এদিনের অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত জেলে রাখা হবে তাঁকে। অরুণাভবাবু চিত্কার করে কিছু বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু অধ্যক্ষের নির্দেশে মার্শাল ও রক্ষীরা তাঁকে নিয়ে যান বিধানসভার দোতলার ঘরে অস্থায়ী কারাগারে। প্রতিবাদে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস। বিধানসভার অস্থায়ী কারাগারে অরুনাভ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যান বিরোধী দলনেতা সহ বহু কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা। বিক্ষোভ হয় হাইকোর্টের সামনেও।
বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গ করায় ১৯৯৬ সালে দুঘণ্টা জেল হয়েছিল বিশিষ্ট সাংবাদিক এম জে আকবরের। ২০১০ সালের জুলাইয়ে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন ডিজি ভূপিন্দর সিং। বিধানসভায় ঢুকে বিক্ষোভ দেখানোয় কংগ্রেসের ছাত্রনেতা সজল ঘোষের দুদিনের জেল হেফাজত হয়েছিল।