Arpita Mukherjee, Partha Chatterjee: ৬ কোম্পানির মালকিন অর্পিতা! পার্থর বাড়িতে বাজেয়াপ্ত জমি-বাড়ি-কোম্পানির দলিল
ED arrested Partha Chatterjee, Arpita Mukherjee: অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় যদি কোনও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন, তবে সেই দলিল নথি কেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে? ইডি আধিকারিকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে অর্পিতার নামে সম্পত্তির দলিলের হদিশ পাওয়া যাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দেয় যে, মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কতটা গভীর!
পিয়ালি মিত্র: ছয়-ছয়টি কোম্পানির মালকিন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। Zee ২৪ ঘণ্টার হাতে ইডির সিজার লিস্ট। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মিলেছে একাধিক জমি, বাড়ি ও কোম্পানির দলিলের কপি। বাজেয়াপ্ত প্রায় সব দলিলেই রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। ইডির সেই সিজার লিস্টের এক্সক্লুসিভ কপি Zee ২৪ ঘণ্টার হাতে এসে পৌঁছেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, 'পার্থ ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে অন্তত ৬টি কোম্পানি। যার সবগুলিরই ডিরেক্টর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু সম্পত্তির দলিল। যেখানেও মালিকানা হিসেবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম লেখা হয়েছে। মোট ১২টি কোম্পানির নথি পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, ২ বিএইচকে ফ্ল্যাট থেকে বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেরও নথি মিলেছে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে।
এ যেন কেঁচো খুঁড়ে কেউটে বেরিয়ে আসার মত! তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আরও সম্পত্তির তালিকা! বোলপুর ছাড়াও কলকাতা, রাজারহাট, বরাহনাগর, সোনারপুরে মন্ত্রীর আরও সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তল্লাশির দরুন এই তথ্য ইডির হাতে আসে। যার মধ্যে অর্পিতা মুখার্জি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনের নামে সম্পত্তি আছে। সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে তদন্তকারী সংস্থা। অধিকাংশ সম্পত্তিরই রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কলকাতা থেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় যদি কোনও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন, তবে সেই দলিল নথি কেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে? ইডি আধিকারিকদের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে অর্পিতার নামে সম্পত্তির দলিলের হদিশ পাওয়া যাওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে দেয় যে, মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কতটা গভীর!
কসবা, ঠাকুরপুকুর, রাজারহাট সহ একাধিক জায়গায় রয়েছে অর্পিতার সম্পত্তি। যার হদিশ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। বোলপুর, যাদবপুর, কেন্দুয়া রোড, ঠাকুরপুকুর, রাজারহাট, আতঘোরা রয়েছে সেই তালিকায়। এইসব সম্পত্তির কবে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তারও হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকায় মিলেছে সেলোটেপ! যা থেকে আরও জোরালো হচ্ছে হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচারের তত্ত্ব। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অর্পিতার মুখোপাধ্য়ায়ের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২১ কোটি ৯০ লাখ, ৫৮ লাখ টাকার গয়না ও ৫৪ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সোমবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে ফের ডাক্তারি পরীক্ষা হয় অর্পিতার।