মুকুলের পদত্যাগে দলের লাভ না ক্ষতি? ধন্দে সাংসদ অনুপম হাজরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চমীর সকাল পর্যন্ত আকাশে কোনও গুরগুর ছিল না। ছিল না কোনও বিপর্যয়ের আগাম সংকেতও। কিন্তু, রাজ্য রাজনীতির হাওয়া বদলের ঘোষণা এল নিজাম প্যালেস থেকেই। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আক্ষরিক অর্থে শুরু হতে বাকি আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা, এরই মধ্যে বাঙালির আড্ডায় ঢুকে পড়লেন তৃণমূলের একদা চাণক্য মুকুল রায়। "ভীষণ দুঃখ নিয়ে জানাচ্ছি আমি দলের কর্মসমিতির সদস্যপদ প্রত্যাহার করছি। মেল মারফৎ নিজের ইস্তফাপত্র দলকে পাঠাবো। আর পুজো যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেব"। অনেকে আন্দাজ করলেও, উইকেটে পড়ে থাকা ব্যাটসম্যান যে এভাবে তৃণমূল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন, তা ঘ্রুণাক্ষরেও টের পাননি দলের শীর্ষ স্থানীয়রা। অগত্যা, শরতে মুকুল ঝরতেই ঘাসফুলের গায়ে লাগতে শুরু করল হিমেল হাওয়া। মুকুল রায়ের পদত্যাগ নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। এবার ফেসবুকের দেওয়ালে নিজের ধন্দের কথা অকপটে লিখলেন তরুণ সাংসদ অনুপম হাজরা। মুকুল রায়ের দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত 'দলের কতটা লাভ বা ক্ষতির' তা ঠাউরে উঠতে পারছেন না বোলপুরের সাংসদ।