শহরে বৃদ্ধের হাতে বৃদ্ধ খুন
রীতিমতো বেনজির ঘটনা। সাতাশি বছরের এক বৃদ্ধের হাতে খুন হলেন চুয়াত্তর বছরের আর এক বৃদ্ধ। পাম্প চালানো নিয়ে বচসারই এমন মর্মান্তিক পরিণতি, বলছে পুলিস। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি নেপথ্যে রয়েছে শেষ বয়সে নিরাপত্তার অভাববোধ ?
![শহরে বৃদ্ধের হাতে বৃদ্ধ খুন শহরে বৃদ্ধের হাতে বৃদ্ধ খুন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/01/25/34063-murder-city.jpg)
কলকাতা: রীতিমতো বেনজির ঘটনা। সাতাশি বছরের এক বৃদ্ধের হাতে খুন হলেন চুয়াত্তর বছরের আর এক বৃদ্ধ। পাম্প চালানো নিয়ে বচসারই এমন মর্মান্তিক পরিণতি, বলছে পুলিস। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি নেপথ্যে রয়েছে শেষ বয়সে নিরাপত্তার অভাববোধ ?
টালিগঞ্জের দু নম্বর যতীন দাস রোডের বাড়িটিতে বারো ঘর এক উঠোন। তারই একটিতে থাকেন সাতাশি বছরের রণেন্দ্র রায়। নিজের বলতে কেউ নেই। তুতো ভাইয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী আর তাঁর ছেলে-বউয়ের সংসারে অনেকটা যেন পরগাছা। সেই ভাইয়েরই শ্যালক চুয়াত্তর বছরের সুমন ঘোষ ইদানীং ঘনঘন আসছিলেন বাড়িতে। খাওয়াদাওয়াও করছিলেন। রবিবারও এসেছিলেন সুমন। তখনই পাম্প চালানো নিয়ে তাঁর সঙ্গে রণেন্দ্রর বচসা বাধে । আচমকাই ভাইয়ের শ্যালকের ওপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
কিন্তু শুধু পাম্প চালানো নিয়ে বচসার জেরেই কি খুন চড়ে গেল সাতাশি বছরের বৃদ্ধের মাথায়? অসুস্থ দিদির সামনে তাঁর ভাইকে খুনের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অন্য ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিস। জেরায় নিজেই তা কবুল করেছেন সাতাশির ওই বৃদ্ধ।
সুমন ইদানীং প্রায় রোজই বাড়িতে এসে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করতেন।
কখনও কখনও আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করত
আমার ভয় হত, দিদির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ও আমাকে বাড়ি থেকে উত্খাত করতে চায়
সেই ভয় থেকেই হয়তো আমি এই কাজ করে ফেলেছি।
সোমবার ধৃত রণেন্দ্র রায়কে আলিপুর আদালতে তোলা হবে।