আমরি শুনানি- আইনজীবীদের ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে এজলাস ছাড়লেন বিচারক। চার্জগঠনই হল না

আমরি শুনানি- আইনজীবীদের ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে এজলাস ছাড়লেন বিচারক। চার্জগঠনই হল না

Updated By: Jun 7, 2014, 06:59 PM IST

আমরিকাণ্ডের শুনানিতে রীতিমতো ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লেন দুপক্ষের আইনজীবীরা। এমনকী বিচারকের সঙ্গেও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর তুমুল তর্ক শুরু হয়ে যায়। বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে পৌছয় যে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক। ফলে এদিন মামলার চার্জগঠন হয়নি। পনেরই জুলাই মামলার পরের দিন ঠিক হয়েছে।

আলিপুর জজ কোর্টে শনিবার আমরি অগ্নিকাণ্ড মামলার চার্জগঠনের কথা ছিল। শুনানি শুরু হতেই এজলাসের ভিতরে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সরকারি আইনজীবী ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী। এরপর বিচারকের সঙ্গে বাক -বিতণ্ডায় ঝড়িয়ে পড়েন অভিযুক্তদের আইনজীবী। বিচারক সাকেত কুমার ঝায়ের পাশে বসেছিলেন একজন শিক্ষানবিশ বিচারক। বিচারক সাকেত কুমার ঝা অভিযুক্ত পক্ষের এক বিচারকের কাছ থেকে এফআইআরের কপি চান। কপি হাতে পাওয়ার পরই দেখা যায় এফআইআরের কপিতে তার পাশে বসে থাকা শিক্ষানবিশ বিচারকের ফোন নম্বর লেখা রয়েছে। ক্ষুব্ধ বিচারক কপিটি বাজেয়াপ্ত করতে চাইলে, হুলস্থূল পড়ে যায়। ওই শিক্ষানবিশ বিচারকের মোবাইল নম্বর কী করে অভিযুক্তের আইনজীবীর কাছে গেল তানিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক সাকেত কুমার ঝা। অভিযুক্তদের আইনজীবী জানান, ওই শিক্ষানবিশ বিচারক একদিন তার দিল্লির চেম্বারে গিয়েছিলেন। সেইসময় তার টেবিলে আমরি কাণ্ডের এফআইআরের কপিটি পড়ে ছিল। ওই কপিতেই তিনি অভিযুক্তের আইনজীবীর নম্বরটি নোট করেছিলেন। তবে কোর্টরুমের বাইরে এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

এই ঘটনাকে শুরু হওয়া বাকবিতণ্ডায় ভেস্তে যায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া। ক্ষুব্ধ বিচারক মন্তব্য করেন( বিচারপ্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন নিরপেক্ষ আম্পায়ার। আমি এখানে কাউকে সাহায্য করতে বসেনি। এই মামলা আমি আর শুনব না।) শিক্ষানবিশ বিচারককে নিয়ে কোর্ট রুম থেকে বেরিয়ে যান বিচারক। পরে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় মামলা শুনতে রাজি হন বিচারক সাকেত কুমার ঝা। ততক্ষণে আদালতের সময় পেরিয়ে গেছে। ফলে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় পনেরই জুলাই।

আমরি হাসপাতালের বোর্ড অফ ডিরেক্টেরস সহ ১৪ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। চিকিত্‍সক মণিছেত্রী ও রাধাশ্যাম আগরওয়াল অসুস্থতার কারণে দেখিয়ে গরহাজির ছিলেন।
২০১১ সালের নয়ই ডিসেম্বর আমরিতে আগুন লেগেছিল। আজ পর্যন্ত এই মামলার চার্জগঠনই হল না।

.