রাজ্যের জন্য সাহায্য চেয়ে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছেন অমিত মিত্র

রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ আদায়ে আরও একবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন অমিত মিত্র। আগামী ৬ এবং ৭সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। গত মাসে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময়ই অমিত মিত্রের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের কথা ঠিক হয়।

Updated By: Sep 3, 2012, 08:56 PM IST

রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ আদায়ে আরও একবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন অমিত মিত্র। আগামী ৬ এবং ৭সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। গত মাসে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময়ই অমিত মিত্রের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের কথা ঠিক হয়।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবিতে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছে বারবার রাজ্যের বাত্‍সরিক পঁচিশ হাজার কোটি টাকার সুদ মকুব করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এই দাবিতে একাধিকবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে রাজ্যের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোন সদর্থক ইঙ্গিত মেলেনি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বহুবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও লাভ হয়নি কিছুই। তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাকি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখা হবে। বাস্তবসম্মত উপায়ে সাহায্যেরও চেষ্টা করা হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে যোগ দিতেই সেপ্টেম্বরের ছয় তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন অমিত মিত্র। সঙ্গে যাচ্ছেন অর্থ দফতরের সচিবরাও।
 
তবে প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট সুদ মকুবের প্রশ্নে বাকি রাজ্যগুলির থেকে পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে, অন্য কী উপায়ে রাজ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো যেতে পারে তারই ক্ষেত্র প্রস্তুতের সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে। একাধিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ইউপিএ টু সরকারের প্রধান দল কংগ্রেস স্বাভাবিক ভাবেই এ মূহুর্তে শরিকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে। ইউপিএ টু-র দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসকে তাই কোন ভাবেই চটাতে রাজি নন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী বা প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের এই শরিকি নির্ভরতাকে কাজে লাগিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে কতটা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে পারবেন এখন জল্পনা তাই নিয়েই।

.