দায়িত্বে এসে বিতর্ক এড়াতে পারলেন না অস্থায়ী নির্বাচন কমিশন
১১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিলেন, কিন্তু বিতর্ক এড়াতে পারলেন না অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
অবাধে ছাপ্পা,বহিরাগত দাপট, নিশানায় সাংবাদিকরা। ভোটের দিন মোটের ওপর এটাই ছিল সল্টলেকের ছবি। পুরনিগমের ৪১টি ওয়ার্ডেই ফের ভোট চান বিরোধীরা। তবে, পুনর্নির্বাচন হচ্ছে মাত্র নটি বুথে। কেন এত কম সংখ্যক বুথে পুনর্নির্বাচন ?
অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনার বলছেন,রাস্তার হিংসা ভোটগ্রহণে প্রভাবে ফেলেছে এমন প্রমাণ নেই। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোটের দিন যেভাবে সল্টলেকের রাস্তায় বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াল,যেভাবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হল তাতে কি ভোটগ্রহণ প্রভাবিত হয়নি?
জাতীয় নির্বাচন কমিশনেরও বক্তব্য,ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে পৌছতে পারেন, তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব কমিশনের।
অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনারের যুক্তি, ভোটের দিন রাস্তার হিংসা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের।
অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনের এই যুক্তিও মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের পাল্টা প্রশ্ন, ভোটের দিন বিধাননগরের রাস্তায় বহিরাগতরা যে ত্রাস তৈরি করেছিল তা দেখা কী আদৌ রাজ্যের দায়িত্ব?
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ভোট সংক্রান্ত যেকোনওরকম গণ্ডগোল সামাল দেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনেরই।
বিরোধীদের প্রশ্ন, এরপরও কী করে ভোটের দিন রাস্তার হিংসার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়?