এডসের অভিশাপ ভুলে আগমনীর ছন্দে মেতেছে আনন্দ আশ্রমের শিশুরা

মা দুর্গা পারে না? অত বড় অসুরটাকে শায়েস্তা করে দিল! আর শরীর খারাপটা ঠিক করে দিতে পারে না? সারা বছর ভাল না থাকা মন, ভাল হয়ে যায়, পুজো আসছে শুনে। কিন্তু ভাল হয় না শরীর। মহিষের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া অসুরের মত, শরীরে বাসা বেধেছে বাজে রোগ। এডস্। সারে না। পারে না দুর্গতিনাশিনী--আর ভাল লাগে না। তবু পুজো, আনন্দ ঘরে তোড়জোড় আনন্দময়ীর আবাহনে।

Updated By: Oct 8, 2013, 08:50 PM IST

মা দুর্গা পারে না? অত বড় অসুরটাকে শায়েস্তা করে দিল! আর শরীর খারাপটা ঠিক করে দিতে পারে না? সারা বছর ভাল না থাকা মন, ভাল হয়ে যায়, পুজো আসছে শুনে। কিন্তু ভাল হয় না শরীর। মহিষের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া অসুরের মত, শরীরে বাসা বেধেছে বাজে রোগ। এডস্। সারে না। পারে না দুর্গতিনাশিনী--আর ভাল লাগে না। তবু পুজো, আনন্দ ঘরে তোড়জোড় আনন্দময়ীর আবাহনে।
সোনারপুরের আনন্দঘর এখন সত্যিসত্যিই যেন আনন্দের হাট। ৬৫ জন এডস্ আক্রান্ত শিশু-কিশোর। ৬৩ জন মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু কিশোর। এটুকুই প্রাণশক্তি। সেই প্রাণশক্তি উজাড় করে দিয়েছে ওরা দুর্গাপুজোর আয়োজনে। মণ্ডপ সাজিয়েছে নিজেরাই। বাইরের লোকেরা আসবেন পুজো দেখতে। তাই কোথাও কোনও ফাঁক রাখা চলবে না।
কি হয়েছে ওদের কিছুটা নিশ্চয়ই জানা আছে। তবু এই শৈশব, এই কৈশোর হার মানতে শেখেনি। উত্‍সবের আনন্দযজ্ঞে সকলকে ডাক পাঠিয়েছে ওরা। বলতে চায়, এসো, দেখে যাও, আমাদের ভুলে যেও না।
১৯৯৯ সাল থেকে সোনারপুরের আনন্দঘরে দুর্গাপুজো হচ্ছে। এই হোমে এডস আক্রান্ত শিশু কিশোর ছাড়াও রয়েছে পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁরাও অংশগ্রহণ করবে। পুজো দেখতে আসবে বাইরের মানুষজন। হয়তো সেই ফাঁকে ঠাকুর দেখার ছলে নিজেদের এডস আক্রান্ত সন্তানকেও দেখে যাবেন বাবা-মা। মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করবেন--মা বাঁচিয়ে রাখো।
শুধু নিজেদের পুজোই নয়, এবার কলকাতায় পুজো দেখতে আসবে আনন্দঘর হোমের বাসিন্দারা। ওরা অপেক্ষায় কবে আসবে সে দিন। কিন্তু যদি সে দিন বৃষ্টি হয়। চোখের আকাশে মেঘের ঘনঘাটা। বৃষ্টি নামল বলে।

.