মা ফ্লাইওভারে চিনা মাঞ্জার প্রাণঘাতী হামলার মুখে এবার চিকিত্সক
গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে প্রাণঘাতী মাঞ্জার অসাধু কারবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার চিনা মাঞ্জা দেওয়া সুতোর শিকার খোদ চিকিত্সক। মা ফ্লাইওভারে দিয়ে যাওয়ার সময় গলায় মাঞ্জা দেওয়া সুতো জড়িয়ে পড়ে যান সৈকত চক্রবর্তী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
রবিবার দুপুরে মা ফ্লাইওভার ধরে স্কুটি চড়ে মুকুন্দপুর যাচ্ছিলেন এসএসকেএমের চিকিত্সক সৈকত চক্রবর্তী। হঠাতই তাঁর গলা, মুখে জড়িয়ে যায় মাঞ্জা দেওয়া সুতো। রক্তাক্ত অবস্থায় ব্রিজে দাঁড়িয়ে পড়েন সৈকতবাবু। ঘটনাস্থলে আসে তপসিয়া থানার পুলিস। আহত অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর গলা ও মুখসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সেলাই হয়েছে। শহরে এধরনের ঘটনা নতুন নয়। চাইনিজ মাঞ্জার সুতোর শিকার হয়েছেন অনেকেই।
সেপ্টেম্বরে মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জা গলায় জড়িয়ে আহত হন আইটি আধিকারিক প্রসেনজিত্ বণিক।
জুন মাসে রেড রোডে আহত হন মইনুদ্দিন মল্লিক।
জানুয়ারি মাসে ধারালো মাঞ্জা সুতোর গুরুতর আহত হন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র দিব্যম বাজাজ।
গত বছর ডিসেম্বরে ইকো পার্ক যাওয়ার পথে হুডখোলা জিপে ঘুড়ির সুতো গলায় জড়িয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের।
চিনা মাঞ্জার বিপদ নিয়ে আগেই মানুষকে সচেতন করেছে জি চব্বিশ ঘণ্টা। সিন্থেটিক মাঞ্জা বা চিনা মাঞ্জায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু তাতে কি! এখনও যে রমরমিয়ে চলছে কারবার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মা ফ্লাইওভারের দুর্ঘটনা। তবুও অসাধু কারবারে ছেদ পড়েনি।
আরও পড়ুন- কালো টাকা উদ্ধারে সাফল্য; ২ কোম্পানি, ৩ ব্যক্তির তথ্য দিতে রাজি সুইত্জারল্যান্ড