রথ যাত্রা ভঙ্গে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে দায় ঠেলাঠেলি, হাসি ক্ষমতাসীন বিরোধী গোষ্ঠীর
বাংলায় বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে চলছিল টালবাহানা।
অঞ্জন রায়
আদালতের রায়ে আটকে গিয়েছে বিজেপির রথ। আর গণতন্ত্র যাত্রা কর্মসূচি এভাবে ধাক্কা খাওয়ায় রাজ্য বিজেপির অন্দরে 'তু তু ম্যায় ম্যায়'। এক পক্ষ দোষারোপ করছে আর এক পক্ষকে। বর্তমান ক্ষমতায় থাকা পক্ষই সমালোচনার কাঠগড়ায়। মুচকি হাঁসছে 'অতীত শিবির'। কারণ, রথ যাত্রা 'হিট' হলেই তো হাততালি কুড়িয়ে নিত ক্ষমতাসীন শিবির।
বাংলায় বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে চলছিল টালবাহানা। হাইকোর্ট থেকে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবূার শীর্ষ আদালতের রায়ে ভেস্তে যায় রথ যাত্রার পরিকল্পনা। এরপরই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। এক শিবিরের প্রশ্ন, কেন আদালতে যাওয়া হল? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গিয়েই তো রথের রশিতে টান দেওয়া যেত। তখন অন্যপক্ষের যুক্তি, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের মতো সর্বভারতীয় নেতা বিনা অনুমতিতে কীভাবে রথ যাত্রার সূচনা করতে পারেন? সর্বোপরি এটা ভুললে চলবে নরেন্দ্র মোদী কোনও দলের নেতা নন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রধানমন্ত্রী আইন লঙ্ঘন করতে পারেন না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ধাক্কা খেলেও খুশি বিরোধী গোষ্ঠী। ওই গোষ্ঠীর নেতারা মুচকি হেসে বলছেন, রথ যাত্রা সফল হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর গুরুত্ব বেড়ে যেত। ভাল নম্বর পেয়ে যেতেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- আয়ুষ্মানের পর আরও একটি প্রকল্পে চূড়ান্ত রিপোর্টের ঠিক আগে হাত গুটিয়ে নিল রাজ্য
অতঃকিম, লোকসভায় রাজ্যে ২২টি আসন জেতার লক্ষ্য নিয়েছেন অমিত শাহ। সেই রাজ্যেই লোকসভা ভোটের ঠিক আগে রথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে চলছে দায় ঝাড়ার কোন্দল। এভাবে গোষ্ঠী-উপগোষ্ঠী নিয়ে কি আদৌ বাংলায় গেরুয়া পতাকা ওড়ানো সম্ভব? উত্তর দেবে সময়।
এদিকে রথ যাত্রা ভঙ্গের ক্ষতে মলম দিতে পাঁচটি সভা করার পরিকল্পনা করেন অমিত শাহ। তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের পরের দিন অর্থাত্ ২০ জানুয়ারি প্রথম সভা রাখা হয়েছে অমিতের। সূত্রের খবর, রাজ্যে ৫ টি সভা করবেন অমিত শাহ। ২০ জানুয়ারি মালদহে অমিত শাহর প্রথম সভা। ২১ জানুয়ারি সিউড়ি ও ঝাড়গ্রামে সভা। ২২ জানুয়ারি জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে আরও দুটি সভা করবেন বিজেপি সভাপতি। ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।