Abhishek Sends Notice to Md Salim: সোশ্যাল মিডিয়ায় 'অশালীন' শব্দের ব্যবহার করে নিশানা, সেলিমকে আইনি নোটিস অভিষেকের
Abhishek Sends Notice to Md Salim: অভিষেকের বিদেশযাত্রা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন সেলিম। কেন ওই অশালীন শব্দের ব্যবহার তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই নোটিস
প্রবীর চক্রবর্তী: সোশ্য়াল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে বিপাকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিদেশযাত্রা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন শব্দ ব্যবহার করে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন সেলিম। কেন ওই অশালীন শব্দের ব্যবহার তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই নোটিস।
চোখের চিকিত্সার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিদেশযাত্রা সম্পর্কে, তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা সম্পর্কে একাধিক মন্তব্য করেন সেলিম। সিপিএম নেতা লেখেন, সাংসদ তথা এই মাফিয়া ডন কয়লা পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। তিনি এখন নিউ ইয়র্ক থেকে সেলফি তুলে পাঠিয়েছেন। বিজেপি তাঁকে দেশের বাইরে চলে যেতে সাহায্য করেছে। শোনা যাচ্ছে অন্তত ১৫ বিদেশি বারবণিতার অ্যাকাউন্টে তাঁর অবৈধ টাকা জমা রেখেছেন।
ওই নোটিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। পাশাপাশি টাকা জমা করা নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে অভিষেকের আইনজীবীর তরফে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে সেলিমকে নয়তো তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিপিএম নেতার ওই পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন এনিয়ে সংবাদমাধ্য়মে সেলিম বলেন, ইডি, সিবিআই, কেন্দ্রীয় সরকার, অভিবাসন দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সবার যোগ সাজসেই উনি বাইরে চলে গিয়েছেন। পরিস্কার কথা পরিস্কার করে বলতে হয়। মাফিয়া ডন। মেক্সিকো, ইতালি, আফ্রিকার দেশগুলিতে যেখানে খনিজ সম্পদ লুঠ হয়, যেখানে ড্রাগ-অস্ত্র পাচার হয়। সেরকম এখানেও শিক্ষকদের চাকরিতে নিয়োগ করতে টাকা নিয়ে বিদেশি বারবণিতাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া করে রাখা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের মাফিয়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসুরী গরিব মানুষের কাছ থেকে লুঠ করা টাকা পাচার করার জন্য ওইসব পতিতাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া করেছেন।
সেলিমের ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, যে সিপিএম বড়বড় কথা বলে, মহিলাদের অধিকার নিয়ে নীচতিকথা শোনায় তাদের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মনে এক মুখে এক। যেভাবে মহিলাদের সম্পর্কে কুত্সিত শব্দ প্রয়োগ করেছেন তার জন্য সেলিমের উচিত প্রকাশ্য়ে ক্ষমা চেয়ে এই বিতর্কের ইতি টানা। আরও একটি পোস্ট করে তিনি শব্দের পরিবর্তন করলেন। এসব ন্য়াকামির কোনও অর্থ হয় না।