Saltlake: অফিসে অংসলগ্ন আচরণ, আইটি সেক্টরের শৌচাগারে রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী....
কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চলে যান শৌচাগারে। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে মৃত্যু। আত্মহত্যা নাকি খুন? তদন্তে পুলিস।
![Saltlake: অফিসে অংসলগ্ন আচরণ, আইটি সেক্টরের শৌচাগারে রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী.... Saltlake: অফিসে অংসলগ্ন আচরণ, আইটি সেক্টরের শৌচাগারে রক্তাক্ত নিরাপত্তারক্ষী....](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/02/11/406866-death.png)
নান্টুন হাজরা: আইটি সেক্টরের অফিসে আত্মহত্যা? শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল নিরাপত্তারক্ষীকে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হল তাঁর। তদন্তে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। বাড়ি, বাগুইআটির হাতিয়ারা এলাকায়। সল্টলেকের আইটি সেক্টরে একটি অফিসে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে অফিসে আসার পর থেকেই নাকি অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন কমলেশ! বারবার বলছিলেন, 'আমায় মেরে ফেলা হোক'। এমনকী, কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চলে যান শৌচাগারে।
তারপর? বাথরুম থেকে যখন বেরোন ওই নিরাপত্তারক্ষী, তখন দেখা যায় শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন। রক্ত পড়ছে। এরপর সহকর্মীরা কথা বলতে গেলে, ফের শৌচাগারে চলে যান কমলেশ, কিন্তু এবার বাইরে বেরোননি। সহকর্মীরা ডাকতে গিয়ে দেখেন, শৌচাগারেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি। আর শৌচাগারের বেসিনটি ভাঙা। শেষপর্যন্ত বিধাননগর হাসপাতালে মৃত্যু।
কীভাবে? পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে বিয়ে করেছিলেন কমলেশ। এক কন্য়াসন্তান রয়েছে তাঁর। বিবাহ-বিচ্ছেদ হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু বিচ্ছেদের পর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হত না বাবাকে। মানসিক অবসাদ ভুগছিলেন কমলেশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।