করোনা কীভাবে শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে জানতে হবে, দেহ দান করলেন ৯৩ বছরের প্রথম মহিলা
নিজস্ব প্রতিবেদন- জ্যোৎস্না বোস, কলকাতার বাসিন্দা। বয়স ৯৩। তিনি ট্রেড ইউনিয়নের লিডার। তিনি এখন খবরের শিরোনামে। কারণ, জ্যোৎস্না দেবী কোভিড গবেষণার জন্য দান করেলেন নিজের দেহ। ভারতে তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পদক্ষেপ করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- জ্যোৎস্না বোস, কলকাতার বাসিন্দা। বয়স ৯৩। তিনি ট্রেড ইউনিয়নের লিডার। তিনি এখন খবরের শিরোনামে। কারণ, জ্যোৎস্না দেবী কোভিড গবেষণার জন্য দান করেলেন নিজের দেহ। ভারতে তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পদক্ষেপ করেছেন।
আরও পড়ুন: আবার ৪ হাজারের গণ্ডি পার করল মৃতের সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫
নন্ প্রফিট অর্গানাইজেশন গন্দর্পণ দ্বারা জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জ্যোৎস্না বোস পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় ব্যক্তি, করোনা মানুষের শরীরে কীভাবে ক্ষতি করে তা গবেষণা করার জন্য তাঁর দেহ দান করেছেন। এর আগে ব্রজো রায় নামে এক ব্যক্তি প্রথম তাঁর দেহ দান করেন করোনা গবেষণার জন্য। জানা গিয়েছে, কোভিডেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ব্রজ রায়ের মরদেহে প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়ে গিয়েছে৷ জানা যাচ্ছে, আজীবন, দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল ব্রজ রায় এবং জ্যোৎস্না বোস।
আরও পড়ুন: বছরে ১০০ কোটি করে Covaxin, দায়িত্ব নিল Bharat Biotech
জ্যোৎস্না দেবীর নাতনি তৃষা বোস জানিয়েছেন, “গত ১৪ মে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটার এক হাসপাতালে ভর্তি হন৷ দিনদুয়েক পরেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ গত মঙ্গলবার মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ দেশের মধ্যে এই প্রথম কোভিডে মৃত কোনও মহিলার মরদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হল৷ আমরা করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ কিছুই জানি না, কারণ এটি একেবারেই নতুন একটা রোগ৷ তাই দিদার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এই মারণ রোগ কীভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে তার বিশদে জানা যেতে পারে তাঁর শরীর থেকে। গোটা বিশ্বের সেটি জানার খুব প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করতেন দিদা৷ প্যাথলজিক্যাল অটোপসি আমাদের সেই তথ্য পেতে সহযোগিতা করবে বলে মনে করছি৷”