পুলিস হেফাজতে ধৃত ৬ জন

এএমআরআই হাসপাতালের ধৃত ৭ জনের মধ্যে ৬ জন কর্ণধারকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। কোর্টে হাসপাতালের ৬ কর্ণধার আর এস গোয়েঙ্কা, এস কে তোদি, প্রশান্ত গোয়েঙ্কা, রবি তোদি, মণীশ গোয়েঙ্কা এবং ডি এন আগরওয়ালকে পেশ করা হয়। অপর ধৃত কর্ণধার রাধেশ্যাম আগরওয়াল অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁকে আদালতে পেশ করা যায়নি।

Updated By: Dec 10, 2011, 04:46 PM IST

এএমআরআই হাসপাতালের ধৃত ৭ জনের মধ্যে ৬ জন কর্ণধারকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
কোর্টে হাসপাতালের ৬ কর্ণধার আর এস গোয়েঙ্কা, এস কে তোদি, প্রশান্ত গোয়েঙ্কা, রবি তোদি, মণীশ গোয়েঙ্কা এবং ডি এন আগরওয়ালকে পেশ করা হয়। অপর ধৃত কর্ণধার রাধেশ্যাম আগরওয়াল অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁকে আদালতে পেশ করা যায়নি।
আদালতে পেশ করার আগে শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁদের মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

শুক্রবারই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮, ২৮৫ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছিল কলকাতা পুলিস। পুলিস কমিশনারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্যসরকার।
অগ্নিনির্বাপণ বিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ১১ সি, ১১ জে এবং ১১এল ধারায় মামলা দায়ের করেছে দমকল। লেক থানায় দমকলের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল দমকল। ৫ সেপ্টেম্বর হলফনামা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিন মাসের মধ্যে ওই জায়গা খালি করে দেওয়া হবে। কিন্তু কাজের কাজ যে তারা কিছুই করেনি, শুক্রবারের ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। আগুন লাগার পর ওই বেসমেন্ট বা ভূগর্ভস্থ পার্কিং লট থেকে বহনযোগ্য এলপিজি সিলিন্ডার, ওষুধপত্র, বর্জ্য, ডিজেল ও গালার মতো বিভিন্ন ধরনের দাহ্যপদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই কারণে শুক্রবারই হাসপাতালের পরিচালন পর্ষদের রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা, মণীশ গোয়েঙ্কা, প্রশান্ত গোয়েঙ্কা, শ্রবণ টোডি, রবি টোডি এবং দয়ানন্দ আগরওয়ালকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিস এবং দমকল তাঁদের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা রুজু করেছে, সে সবই জামিন অযোগ্য এবং তা প্রমাণিত হলে তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের এই হাসপাতাল বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের দায় এ়ড়াতে পারে না রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভা। এই হাসপাতালে ৭ শতাংশ মালিকানা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেই কারণেই পরিচালন পর্ষদে রয়েছে রাজ্যের এক জন প্রতিনিধি। পুলিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় পরিচারলন পর্ষদের অন্য সদস্যদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ আলিপুর আদালতে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। অভিযুক্তদের পক্ষে কোনও আইনজীবী যাতে সওয়াল না করেন, সেই দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় ল-ইয়ার ক্লাকর্স অ্যাসোসিয়েশন।

.