নবান্নে চতুর্থ অর্থ কমিশনের রিপোর্ট, সরকারি কোষাগারের হাল ফেরানোই চ্যালেঞ্জ
নবান্নে রিপোর্ট জমা দিল চতুর্থ অর্থ কমিশন। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে গঠিত অর্থ কমিশন তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। পঞ্চায়েত স্তরে বরাদ্দ অর্থ যাতে সঠিকভাবে খরচ করা যায়, সে জন্য পঞ্চায়েত এবং সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
ওয়েব ডেস্ক: নবান্নে রিপোর্ট জমা দিল চতুর্থ অর্থ কমিশন। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে গঠিত অর্থ কমিশন তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। পঞ্চায়েত স্তরে বরাদ্দ অর্থ যাতে সঠিকভাবে খরচ করা যায়, সে জন্য পঞ্চায়েত এবং সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
সরকারি কোষাগারকে শক্তিশালী করে তুলতে নতুন অর্থ কমিশনে বেশকিছু প্রস্তাব আনা হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে গতি আনতে এবং আদায় বাড়াতে ভ্যালুয়েশন বোর্ডকে আরও চাঙ্গা করার পরামর্শ রয়েছে রিপোর্টে। ২০ বছর বাদে বাদে রাজস্ব নিয়ে মূল্যায়নের যে প্রক্রিয়া বর্তমানে চালু, তা দুবছর অন্তর করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থ কমিশন। বাম আমলে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে যে রাজস্ব আদায় হত, তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরিকল্পনা-বহির্ভূত খাতে টাকা খরচের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণের পরামর্শ রয়েছে রিপোর্টে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে টাকা খরচের যে হিসাব দিয়েছে কেন্দ্রের চতুর্দশ অর্থ কমিশন, তার সঙ্গে একমত নয় রাজ্যের চতুর্থ অর্থ কমিশন। কেন্দ্রের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর পক্ষে মত রাজ্যের অর্থ কমিশনের।
সরকারি কোষাগারের হাল ফেরানোই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থ দফতরের। নয়া অর্থ কমিশনের প্রস্তাব তা কতটা বাস্তবায়িত হয় এখন সেটাই দেখার।