অবসাদে ভুগছেন কলকাতার বেশিরভাগ বস্তিবাসী, বলছে সমীক্ষা
কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়। কলকাতার বস্তিবাসীদের মধ্যে কতজন অবসাদের শিকার, এই নিয়েই করা হয় সমীক্ষাটি। এই সমীক্ষাতে কলকাতা কর্পোরেশনের সঙ্গে হাত মেলায় অ্যাপোলো হাসপাতাল। সমীক্ষার পর দেখতে পাওয়া গেছে ৪৯% শতাংশ মানুষই অবসাদের শিকার। ৫৭ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন স্ট্রোক হয়ে। বাকি ২৪ শতাংশ মানুষ হৃদ রোগের শিকার। সার্ভের মূল লক্ষ ছিল, বস্তিগুলোর মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অবসাদ দূর করার পদ্ধতি তাদের মধ্যে প্রচার করা।
ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফ থেকে একটি সার্ভে করা হয়। কলকাতার বস্তিবাসীদের মধ্যে কতজন অবসাদের শিকার, এই নিয়েই করা হয় সমীক্ষাটি। এই সমীক্ষাতে কলকাতা কর্পোরেশনের সঙ্গে হাত মেলায় অ্যাপোলো হাসপাতাল। সমীক্ষার পর দেখতে পাওয়া গেছে ৪৯% শতাংশ মানুষই অবসাদের শিকার। ৫৭ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন স্ট্রোক হয়ে। বাকি ২৪ শতাংশ মানুষ হৃদ রোগের শিকার। সার্ভের মূল লক্ষ ছিল, বস্তিগুলোর মধ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অবসাদ দূর করার পদ্ধতি তাদের মধ্যে প্রচার করা।
সমীক্ষার মধ্যে যে সমস্ত তথ্যগুলিকে পাওয়া গেছে, সেগুলি হল...
১. ৪২ শতাংশ মানুষই অবসাদের শিকার। যার মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষের অবসাদ সবে মাত্র ধরা পড়েছে। এছাড়া বাকি ২৩ শতাংশ মানুষ আগে থেকেই জানেন যে তাঁরা ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত।
২. অবসাদে আক্রান্তদের মধ্যে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের পরিমাণ অনেক বেশি।
৩. ৪২ শতাংশ হিন্দু এবং বাকি ৪৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা অবসাদে ভোগেন।
৪. যাঁরা পাকা বাড়িতে থাকেন এবং যাঁরা বস্তিতে থাকেন তাঁদের অবসাদের কারণের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৫. পড়াশুনা সংক্রান্ত কোনও কারণের জন্য বস্তিবাসীদের মধ্যে অবসাদ লক্ষ করা যায়নি। এই অবসাদের মূল কারণ হল মাসিক আয়।
৬. যাঁরা মাদক দ্রব্য ব্যবহারব করেন তাঁরাই সব থেকে বেশি অবসাদে ভোগেন। সমীক্ষাতে দেখা গেছে যাঁরা মাদক গ্রহণ করেন না তাঁরা তুলনায় কম ভোগেন।
৭. ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষেরা সব থেকে বেশি অবসাদের শিকার। এদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে অবসাদ তাঁদের গ্রাস করেছে। আবার অনেকে অবসাদের ঠিক মতো চিকিৎসাই করেন না। ২০১১ সালের গণনা অনুসারে কলকাতার ৪.৫ লক্ষ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেক মানুষই বাড়ির সমস্যায় ভোগেন। যার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বস্তিতে বসবাস করেন।