ধর্মতলাতে ২১ জুলাইয়ের ২১ বছরে দ্বিগুণ লক্ষ্য তৃণমূলের
ব্রিগেড নয়, ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশ এবার ধর্মতলাতেই। প্রস্তুতি তুঙ্গে। সমস্ত জেলা থেকে লোক আনার টার্গেট এবার ডাবল। অঘোষিত ছুটির দিন, ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শহর সচল রাখতে পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
কলকাতা: ব্রিগেড নয়, ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশ এবার ধর্মতলাতেই। প্রস্তুতি তুঙ্গে। সমস্ত জেলা থেকে লোক আনার টার্গেট এবার ডাবল। অঘোষিত ছুটির দিন, ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শহর সচল রাখতে পুলিস কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
২১ জুলাই শহিদ দিবস এবার পা দিচ্ছে ২১ বছরে। প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। ২০১১-এ বিধানসভায় জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। ব্রিগেডেই পালিত হয় শহিদ দিবস। গত বছর অবশ্য ব্রিগেডে সমাবেশ হয় ৩০ জানুয়ারি। বৃষ্টির কারণে এবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ আগের মতো ধর্মতলাতেই হবে। বুধবার পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র জানান, কোনও সরকারি বাস নেওয়া হবে না।
বাইরের রাজ্য থেকে এবার তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি আসছেন না। উত্তরবঙ্গ থেকে বৃহস্পতিবারই আসতে শুরু করে দেবেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। ১৯ তারিখে আসছে একটি স্পেশ্যাল ট্রেন। এবারও তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সল্টলেক স্টেডিয়াম ও বিভিন্ন ধর্মশালায়। সপ্তাহের প্রথম দিন শহর সচল রাখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার রূপরেখা ঠিক করতে পুলিসকর্তাদের সঙ্গে এদিন বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সমস্ত জেলা থেকে লোক আনার টার্গেট এবার ডাবল। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। কোন জেলা থেকে কত লোক আনা হবে?---
কোচবিহার থেকে আগে আসত কুড়ি হাজার কর্মী-সমর্থক। এবার লক্ষ্যমাত্রা পঁয়ত্রিশ হাজার।
মুর্শিদাবাদ থেকে এবার টার্গেট পনেরো হাজার। আগে আসত সাত হাজার।
নদিয়ায় থেকে এবার লক্ষ্যমাত্রা পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ। আগে আসত ২৫ হাজার।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আগে আসতেন ৫০ হাজার মানুষ। এবার টার্গেট এক লক্ষ।
হুগলি থেকে আগে আসত দু লক্ষ কর্মী-সমর্থক। এবার আসবে তিন লক্ষ।
হাওড়া থেকে আগে আসত এক লক্ষ। এবছরের লক্ষ্যমাত্রা এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার।
উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এবার টার্গেট তিন লক্ষ। আগে আসত দু লক্ষ পঞ্চাশ হাজার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে এবার টার্গেট তিন লক্ষ। আগে আসত দু লক্ষ।
উত্তর দিনাজপুর থেকে এবার লোক আনার টার্গেট দশ হাজার। আগে আসত পাঁচ হাজার।
লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পরও এবার বিভিন্ন জেলা থেকে লোক আনার টার্গেট হঠাত্ দ্বিগুণ করতে হল কেন? রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন সেটাই।