আইপিএলে টাকার খেলার পর্দা ফাঁসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট

চান্ডিলার বাড়ি থেকে উদ্ধার ২০ লক্ষ টাকা

চান্ডিলার বাড়ি থেকে উদ্ধার ২০ লক্ষ টাকাদিন যত যাচ্ছে ততই হতবাক হতে হচ্ছে শ্রীসন্থদের কীর্তি দেখে। সোমবার দুপুরে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে শ্রীসন্থ অ্যান্ড কোং-আরও ফাঁসলেন। ফিক্সিং কাণ্ডের ত্রিমূর্তির এক মূর্তি অজিত চান্ডিলার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল ২০ লক্ষ টাকা। এই টাকাটা চান্ডিলা যে স্পট ফিক্সিং করেই পেয়েছিলেন সেটাও অনেকটাই পরিষ্কার।

আইপিএল গড়াপেটা কেলেঙ্কারির টাকার লেনদেনের তদন্তে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের (ইডি) আধিকারিকরা। দিল্লি পুলিস , মুম্বই পুলিস, ইডির সঙ্গে বিসিসিআইও পৃথক ভাবে অভ্যন্তরীণ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে। বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধ শাখার প্রতিনিধিরা আজ দিল্লি পুলিসের সঙ্গে দেখা করবেন। 

খেলার জগতে গড়াপেটা রুখতে নতুন আইন প্রণয়ন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বাল জানিয়েছেন তাঁর মন্ত্রক চেষ্টা করছে এমন আইন আনার যা ভারতে খেলার দুনিয়া থেকে গড়াপেটাকে প্রতিহত করবে। এই বিষয়ে তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন।

স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে এক প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার সহ গ্রেফতার করা হল আরও তিন জনকে। রবিবার সকালে ঔরঙ্গাবাদ থেকে থেকে সুনীল ভাটিয়া, কিরণ ডোলে এবং মণীশ গুড়েয়া নামের এই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিসের দাবি এই তিন জন বুকি এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করত।

ধৃত তিনজনের মধ্যে গুড়েয়া ২০০৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বিদর্ভ রঞ্জি দলের সদস্য ছিলেন। এই তিন জনের ফোন নিয়মিত ট্যাপ করার পরেই পুলিসের হাতে এদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ আসে বলে সূত্রে খবর। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। 
















First Published: Monday, May 20, 2013, 16:16


comments powered by Disqus