Monkeypox: নয়া বিপদ সঙ্কেত? মাঙ্কি পক্সকে মহামারি ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করছে মাঙ্কি পক্স। ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশে ৩৪১৭ টি নিশ্চিত মাঙ্কিপক্সের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার পরও স্বস্তি নেই বিশ্বে। নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করছে মাঙ্কি পক্স। ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশে ৩৪১৭ টি নিশ্চিত মাঙ্কিপক্সের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য নেটওয়ার্ক (WHN) ঘোষণা করেছে যে তারা বর্তমান মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে মহামারি ঘোষণা করছে। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব দ্রুত একাধিক দেশে ছড়িয়েও পড়ছে।
৭ মে ইংল্যান্ডে প্রথম ধরা পড়ার পর থেকে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে এই ভাইরাস। আতঙ্কের কারণ না হলেও, রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশকে কড়া সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কি পক্সের ভাইরাসের হদিস মেলে। কঙ্গোতে ১৯৭০ সালে প্রথম বারের জন্য মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। ব্রিটেনে ২০১৮ সালে প্রথম বার এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পান বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সে বার এমন হারে ছড়ায়নি সংক্রমণ। কিন্তু এবার তা মহামারীর আকার ধারণ করেছে।
মাঙ্কি পক্স আসলে পশুবাহিত রোগ। যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা তারা মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলের বাসিন্দা হয়ে থাকে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল অতিমারিতে আক্রান্ত নয় এরকম দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি এই দেশগুলিতে এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ভাইরাসের সংক্রমণও রোধ করা সম্ভব। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
হু-র তরফে চলা মাঙ্কি পক্স নিয়ে গবেষণার নেতৃত্বে থাকা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক ভাবে এই রোগ শনাক্ত করে আক্রান্তদের নিভৃতবাসে পাঠানো যেতে পারে। এক জন অন্য জনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে, বিশেষ করে ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাই নিভৃতবাসই এই রোগের প্রকোপ কমাতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, হাত-পায়ে ব্যথার মতো কিছু প্রাথমিক উপসর্গ মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। ফোস্কার মতো অসংখ্য ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে শরীরে।
আরও পড়ুন, Covid 19: আরও ঘনীভূত চতুর্থ ঢেউয়ের মেঘ; দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৭,৩৩৬, মৃত ১৩