Chandipura virus: গত ২০ বছরে এত ভয়ংকর ভাইরাস হানা দেখেনি ভারত, শঙ্কিত WHO
WHO Report: ডব্লিউএইচও সম্প্রতি বলে, জুনের প্রথম থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক AES (তীব্র এনসেফালাইটিস সিনড্রোম) এর ২৪৫ টি কেস রিপোর্ট করেছে, যার মধ্যে ৮২ জন মৃত্যু (মৃত্যুর হার বা CFR 33 শতাংশ) হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নয়া এক মারণ ভাইরাসের ব্যাপক প্রকোপে কপালে চন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। আতঙ্কের নাম চাঁদিপুর ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিগত ২০ বছরে এত ভয়ংকর আউটব্রেক দেখেনি ভারত। ডব্লিউএইচও সম্প্রতি বলে, জুনের প্রথম থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক AES (তীব্র এনসেফালাইটিস সিনড্রোম) এর ২৪৫ টি কেস রিপোর্ট করেছে, যার মধ্যে ৮২ জন মৃত্যু (মৃত্যুর হার বা CFR 33 শতাংশ) হয়েছে।
ভারতের মোট ৪৩ টি জেলা বর্তমানে AES কেস রিপোর্ট করছে। এর মধ্যে ৬৪ জন চাঁদিপুর ভাইরাসে (CHPV) সংক্রমিত। CHPV হল Rhabdoviridae পরিবারের সদস্য এবং ভারতের পশ্চিম, মধ্য এবং দক্ষিণ অংশে, বিশেষ করে বর্ষা মরসুমে বিক্ষিপ্ত ঘটনা এবং AES এর প্রাদুর্ভাবের জন্য পরিচিত। আগের প্রাদুর্ভাবের মতো বিভিন্ন জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে এই ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাটে প্রতি চার থেকে পাঁচ বছরে CHPV প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি প্রচেষ্টা বাড়ানো উচিত, ঝুঁকিতে থাকা লোকেদের উপর নজর রাখা, যেমন ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা জ্বরে আক্রান্ত এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের লক্ষণগুলির সঙ্গে উপস্থিত হলে টেস্ট করানো দরকার। WHO বলেছে, রেফারেল ল্যাবরেটরিতে সেরোলজিক্যাল এবং ভাইরোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য সময়মত নুমনা সংগ্রহ, পরিবহন এবং সিরাম এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড নমুনা পরীক্ষা-সহ ল্যাবরেটরি ডায়গনিস্টিক ক্ষমতা উপলব্ধ রয়েছে তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
ভাইরাসটির আসল নাম, চাঁদিপুর ভেসিকুলোভাইরাস (CHPV)। ১৯৬৫ সালে, মহারাষ্ট্রর চাঁদিপুর গ্রামে এই ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকেই এই নামকরণ। এটি একটি আরএনএ ভাইরাস। এটি প্যাথোজেনটি ব়্যাবডোভিরিডা ভাইরাল পরিবারের ভেসিকুলোভাইরাস গণের সদস্য। জুলাই মাসে প্রথম চাঁদিপুরা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় গুজরাটে। হিম্মত নগরে এক সরকারি হাসপাতালে গত ১০ জুলাই ৪ শিশুর মৃত্যু ঘটে। চিকিৎসকদের তরফে দাবি করা হয় চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই এই ঘটনায়। যদিও নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহের রক্তের নমুনা পাঠানো হয় এনআইবি-তে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)