কিডনিতে পাথর জমেছে বুঝবেন কী করে? জেনে নিন...
কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়। কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল এই স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলছে! বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।
কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত চুল পড়ছে, গলা ফুলে উঠেছে? তাহলে কি আপনার...
কিডনিতে পাথর জমার কারণ:
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন,...
• বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা না করা।
• শরীরে জলের স্বল্পতা। কম জল খাওয়া।
• শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
• অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন পিঠে, কোমরে ব্যথা হচ্ছে? অস্টিওপোরোসিস নয় তো?
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
• রক্তবর্ণের প্রসাব।
• বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিত্সা:
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিত্সকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হল কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।
আরও পড়ুন: আপনার ভয়, আতঙ্ক কোনও মানসিক ব্যাধির জন্য নয় তো!
সতর্কতা:
• কিডনি স্টোন-এর ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।
• কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।
• প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
• দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।
• বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।