এই চার পদক্ষেপ আপনাকে বাঁচাবে স্কিন ক্যান্সার থেকে
ছোট্ট ৪টি কাজ বা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলেই স্কিন ক্যান্সারের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করা সহজ হয়ে যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রীষ্মকালের অতিরিক্তি গরমে শুধু যে ছোটোখাটো ত্বকে র্যাশ, ঘামাচি বা ঘাম গায়ে শুকিয়ে সর্দির সমস্যা হয় তা কিন্তু নয়। গরম বাড়লে কিছু মারাত্মক রোগ হতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম স্কিন ক্যান্সার। সামান্য অসতর্কতা বা অসাবধানতার ফলেই হতে পারে স্কিন ক্যান্সারের মূল কারণ। তবে স্কিন ক্যান্সারের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে প্রয়োজন একটু সতর্কতা, সাবধানতা। ছোট্ট ৪টি কাজ বা সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলেই স্কিন ক্যান্সারের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করা সহজ হয়ে যাবে। আসুন সে বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
আরও পড়ুন: কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধে ৩টি অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া টোটকা
১) অতিরিক্ত রোদে ঘোরাঘুরি থেকে বিরত থাকুন: সকাল ৯ টার পর থেকেই রোদের তেজ মূলত বাড়তে থাকে এবং তা প্রায় বিকেল ৪টের পর পর্যন্ত থাকে। এই সময়টাতে রোদে বাইরে বের হওয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে তাপমাত্রা যখন ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা উপরে ঘোরাফেরা করবে, তখন রোদের তেজ থেকে নিজেকে আড়ালে রাখুন। আর যদি বাইরে বেরতেই হয়, সে ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব নিজেকে কাপড়ে ঢেকে বাইরে যান।
২) সব সময় ভাল ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: যেহেতু বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের প্রয়োজনে রোদে ঘোরাঘুরি করতে হতেই পারে, সেহেতু একটু বেশি খরচ করে বাজারের সেরা কার্যকরী বেশি এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন শুধু মুখে নয় শরীরের অন্যান্য খোলা অংশেও (যেমন, হাত, গলা, ঘাড়) ব্যবহার করবেন। এতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এই ৭ অভ্যাস অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা
৩) প্রতি মাসে নিজের ত্বক পরীক্ষা করুন: সব থেকে ভাল হয় যদি বড় কোনও আয়নাতে নিজেই নিজের গোটা শরীরের ত্বকের পরীক্ষা করে নিতে পারেন। ত্বকে কোনও ধরণের অস্বাভাবিকতা, ছোট দাগ বা র্যাশ যা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না, যদি খালি চোখে ধরা পড়ে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
৪) বছরে একবার বিশেষজ্ঞ দিয়ে ত্বক পরীক্ষা করান: নিয়মিত চেকআপ তো অনেক দূরের কথা, আমরা খুব বেশি সমস্যা অনুভব না করা পর্যন্ত কোনও ভাবেই চিকিৎসকের কাছে যাই না। কিন্তু এই অবহেলার কারণেই রোগ বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ দিয়ে নিয়মিত ত্বক পরীক্ষা করান। ত্বকের ক্ষেত্রে বছরে অন্তত এক বার হলেও চিকিৎসকের কাছে ত্বক পরীক্ষা করিয়ে নিন।