ডায়াবেটিস তাড়াতে খান গুরমার গাছের পাতা
ডায়াবেটিস বা সুগার আক্রান্ত এখন প্রায় ঘরে ঘরে। বেশিরভাগ মানুষই বাজার চলতি ওষুধের সাহায্যেই নিয়ন্ত্রণে রাখেন রক্তে শর্করার মাত্রা। কিন্তু আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা ভরসা রাখতে বলছেন গুরমার গাছের ওপর। তাঁদের বক্তব্য, নিয়ম করে এ গাছের পাতা খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা। তাই দিনদিন বাড়ছে গুরমার বা মেষশৃঙ্গি চাষ।
ওয়েব ডেস্ক: ডায়াবেটিস বা সুগার আক্রান্ত এখন প্রায় ঘরে ঘরে। বেশিরভাগ মানুষই বাজার চলতি ওষুধের সাহায্যেই নিয়ন্ত্রণে রাখেন রক্তে শর্করার মাত্রা। কিন্তু আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা ভরসা রাখতে বলছেন গুরমার গাছের ওপর। তাঁদের বক্তব্য, নিয়ম করে এ গাছের পাতা খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তে শর্করার মাত্রা। তাই দিনদিন বাড়ছে গুরমার বা মেষশৃঙ্গি চাষ।
যাঁরা ভেষজ গাছের চাষ করতে চান, তাঁরা গুরমার বা মেষশৃঙ্গির চাষ করতেই পারেন। কারণ, দিন দিন বাড়ছে ভেষজ গুণসমৃদ্ধ গুরমারের চাহিদা। যে গাছ পথের ধারেই গজিয়ে উঠত এক সময়, সেই লতানো গাছই এখন চাষ হচ্ছে মাঠে। কারণ এর ভেষজ গুণ।
এ গাছের পাতাতেই সমস্ত ভেষজ গুণ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পাতা ডায়াবেটিক বা সুগার রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। গুরমারের পাতা সেবনেই অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তে শর্করা মাত্রা মানে সুগার লেভেল। এক মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যাবে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
লতানে গাছ হওয়ার কারণে মাচা দিয়ে ঘিরে এক বিঘা জমিতে প্রায় সাড়ে চারশো গুরমারের চারা লাগানো যেতে পারে। এর জন্য খরচও খুব একটা বেশি নয়। চারা লাগানোর তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ব্যবহার করা যেতে পারে গুরমারের পাতা। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের মধ্যে থাকা মিষ্টি পদার্থ টেনে নিতে পারে গুরমারের পাতা। তবে যেমন তেমনভাবে ব্যবহার করলে হবে না. আয়ুর্বেদ চিকিত্সকেরা বলে দিচ্ছেন গুরমারের পাতার ব্যবহার-পদ্ধতি।
শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রেখে ওজন কমাতেও ভাল কাজ করে গুরমার পাতা। আর এ গাছের ফলেও রয়েছে ভেষজ গুণ। গুরমার ফল দেখতে ভেড়া মানে মেষের সিংয়ের মত। তাই এই গাছকে বলা হয় মেষশৃঙ্গি। গুরমার ফল ত্বকের সমস্যা মেটাতে দারুণ কাজ করে।
উর্বর মাটিতে এ গাছের চাষ হয়। তবে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার লাল মাটিতে এই গাছের চাষ খুব ভাল হতে পারে। নিজের ব্যবহারের জন্য যে কেউ টবে লাগাতে পারেন এই গাছ। কৃষিবিশেজ্ঞরা বলছেন, কোনও রকম রাসায়নিক সার ছাড়া জৈব সারেই লতানো গাছটি মাচার মাথায় চড়বে। এই গাছের চারা মেলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদে।
বিদেশে আয়ুর্বেদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে গুরমার গাছের পাতা ও মেষশৃঙ্গির চাহিদাও। বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও গুরমারের ভেষজ গুণ ব্যবহার করছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাউডার এবং ট্যাবলেট তৈরিতে। সেসবের রমরমা বাজার। কৃষিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এক বিঘা জমিতে গুরমার চাষে কৃষকের লাভ হয় বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। সারা বছরই এ গাছ লাগানো যেতে পারে।