Superbugs: হাসপাতাল থেকে সদ্য ফিরেছেন? সাবধান! কী ভয়ংকর সব রোগের জীবাণু নিয়ে বাড়ি ঢুকলেন, জানেন তো?

Superbugs: রোগীর বাড়ির মানুষজন, খুব সোজা-সাপ্টা নিয়মে ভাবি, রোগীমানুষটি যত বেশি দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা পেলেন, তিনি বুঝি তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন! বাস্তবিকই, হাসপাতাল থেকে রোগীকে তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ করে দিলে, অনেক সময়েই সেই রোগীর বাড়ির লোক একটু অখুশিই হন।

Updated By: May 2, 2024, 01:28 PM IST
Superbugs: হাসপাতাল থেকে সদ্য ফিরেছেন? সাবধান! কী ভয়ংকর সব রোগের জীবাণু নিয়ে বাড়ি ঢুকলেন, জানেন তো?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আমাদের বাড়িতে কেউ জটিল রোগের কবলে পড়লে তাড়াতাড়ি তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমরা স্বাভাবিক ভাবেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করি। রোগের বহর অনুযায়ী সেই রোগী ভর্তি থাকেন হাসপাতালে। কখনও সেটা ৪-৫ দিন থেকে ১২-১৪ দিন, এমনকি মাস বা মাসখানেকেও গড়িয়ে যায়। 

আরও পড়ুন: Saudi Flood: ভয়াবহ ফ্ল্যাশ ফ্লাড, হড়পায় জলমগ্ন গোটা এলাকা, বিপর্যস্ত জনজীবন...

আর আমরা, রোগীর বাড়ির মানুষজন, খুব সোজা-সাপ্টা নিয়মে ভাবি, রোগীমানুষটি যত বেশি দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা পেলেন, তিনি বুঝি তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন! বাস্তবিকই, হাসপাতাল থেকে রোগীকে তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ করে দিলে, অনেক সময়েই সেই রোগীর বাড়ির লোক একটু অখুশিই হন। তাঁরা মনে করেন, বোধ হয়, অন্য রোগী ভর্তি করার চাপে, বেড নেই বলে তাঁদের বাড়ির লোকটিকে সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।

সেই দিন আর নেই! সেই ধারণা যে বস্তাপচা বাতিল ধারণা, সেটাও ক্রমশ বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত হচ্ছে। স্বীকৃত হচ্ছে উভয়তই-- মানে ডাক্তারদের তরফে তো বটেই, এমনকি রোগীর এবং রোগীর বাড়ির লোকজনের তরফেও। এখন বরং রোগীর বাড়ির লোকজন তাঁদের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতেই ভয় পাচ্ছেন, ভয় পাচ্ছেন  চিকিৎসার স্বার্থেই বেশি দিন তাঁকে সেখানে রাখতে। চেষ্টা করছেন, রোগীটি একটু সুস্থ হলেই তাঁকে দ্রুত ডিসচার্জ করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতে।

কেন, হঠাৎ ভাবনার এই প্যারাডাইম শিফ্ট?

কারণ, 'সুপারবাগ'! এই 'সুপারবাগে'র আতঙ্কেই কাঁপছে এখন হাসপাতাল-বিশ্ব। সম্প্রতি এই বিষয়ক একটি গবেষণাসংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেনে। 

কী এই 'সুপারবাগ'?

এই 'সুপারবাগ', সাদা বাংলায়, হল জীবাণু! 'মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট', যা হাসপাতালের মেঝেতে, টয়লেটে এবং যত্রতত্র লুকিয়ে থাকে। এগুলিকেই 'সুপারবাগ' বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। সম্প্রতি স্পেন বার্সেলোনায় 'ইএসসিএমআইডি গ্লোবাল কংগ্রেসে' প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া ও ফানজি এবং এই সুপারবাগ নিয়ে এক গভীর আলোচনা হয়ে গেল। 

হাসপাতালের মোটামুটি সর্বত্রই জীবাণুর যন্ত্রণা। তবে কোথায় কোথায় বিপদ বেশি, সেটাও চিহ্নিত করা হয়েছে। সেটা হল টয়লেট। সেখানেও চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বাথরুম পরিষ্কার, বা কম জীবাণুক্লিষ্ট। আবার ইউনিসেক্স এবং ডিসেবলড টয়লেট ভয়ংকররকম অপরিচ্ছন্ন।

আরও পড়ুন: Hilsa in Pond: অভাবনীয়! এবার আপনার বাড়ির পাশের পুকুরেই পাবেন জলের 'রুপোলি শস্য' দুর্লভ ইলিশ...

যাঁরা চিকিৎসার্থে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, তাঁরা যে-রোগে আক্রান্ত তা থেকে ঘটনাচক্রে সুস্থ হয়ে উঠলেও অজান্তেই আরও নানা জটিল সব জীবাণুতে আক্রান্ত হয়েই বাড়ি ফেরেন এবং ফের নতুন কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরাই হল সুপারবাগ। যাদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া নিয়ে বিশ্ব জুড়ে ভাবতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

(Disclaimer: প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে না।)

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.