একটানা বসে থাকেন? তাহলে কিন্তু মৃত্যু অনিবার্য
বসে থাকার চাকরি? অবসর কাটে বসে বসেই? আড্ডাও বসেই? কিন্তু বেশিক্ষণ বসার মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিপদ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি, ৩ ঘণ্টার বেশি টানা বসে থাকলে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক বা ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ। এমনকী মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। চাকরি হোক বা অবসর, আড্ডা হোক বা কাজ, টানা বসে থেকেছেন কি মরেছেন!
ওয়েব ডেস্ক : বসে থাকার চাকরি? অবসর কাটে বসে বসেই? আড্ডাও বসেই? কিন্তু বেশিক্ষণ বসার মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিপদ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি, ৩ ঘণ্টার বেশি টানা বসে থাকলে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক বা ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ। এমনকী মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। চাকরি হোক বা অবসর, আড্ডা হোক বা কাজ, টানা বসে থেকেছেন কি মরেছেন!
দিনে ৩ ঘণ্টার বেশি টানা বসে থাকলেই বিপদ। সারা বিশ্বে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ৪ শতাংশ মৃত্যু হয় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে। সংখ্যাটা ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার। ওয়ার্কআউট করুন বা না করুন, ৩ ঘণ্টার বেশি টানা বসে থাকলে মৃত্যুকে সাদরে ডেকে আনছেন আপনার জীবনে।
স্পেনের সান জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই মারাত্মক তথ্য। গবেষকরা বলছেন, খুব কম বিরতিতে একভাবে বসে কাজ করলে বা টিভি দেখলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৯০ শতাংশ। ৫০ শতাংশ বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ৫৪ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসার, ৬৬ শতাংশ জরায়ু ক্যানসার ও কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।
একটানা বসে থাকলে শরীরের নটি অঙ্গ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়-
মাথা, হাত, পা, পায়ের পাতা, ঘাড়, পিঠ, ফুসফুস, পাকস্থলী এবং হার্ট
তবে পরিত্রাণেরও উপায় রয়েছে। চিকিত্সকদের পরামর্শ, অফিসে একটানা বসে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আধ ঘণ্টা কাজের পর দু'মিনিট হাঁটার পরামর্শ। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলেও ভালো। প্রয়োজনে কম্পিউটারেও দাঁড়িয়ে কাজ করা যেতে পারে। অফিসে লাঞ্চ সারা যেতে পারে দাঁড়িয়ে। বসে বসেই সহজ কিছু ব্যায়াম করে নিলে উপকার। মোবাইলে কথা বলার সময় হেঁটে কথা বলতে পারলে ভালো। সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের চেয়ারে বসে না থেকে একটু উঠে গিয়ে তার চারপাশে ঘুরে ঘুরে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। আইটি সেক্টর থেকে ব্যাঙ্ক, মিডিয়ার মতো বহু ক্ষেত্রে একটানা বসে কাজ করাটাই দস্তুর। কিন্তু কিছুটা বদলে নিতেই হবে সেই অভ্যেস।